ঘটনাটি ঘটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিমানবন্দরের পৌঁছে ছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ইউনুসের টিমের অন্যতম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। যাচ্ছিলেন মরোক্কো। তখনই বিমানবন্দরের ব্যাগ স্ক্যানিং-এ ধরা পড়ে আসিফের ব্যাগে রয়েছে গুলির ম্যাগাজিন। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়। দেশের উপদেষ্টার ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন উদ্ধার নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক, প্রশ্ন। তবে এরপরও আসিফ দেশত্যাগ করতে পেরেছেন বলে জানা গিয়েছে বাংলাদেশের মিডিয়া রিপোর্টে। এরপর ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে মুখও খুলেছেন আসিফ।
মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়েছেন আসিফ। সেখানেই ইউনুসের এই উপদেষ্টার ব্যাগ থেকে গুলির ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়। বাংলাদেশ জুড়ে প্রশ্ন ওঠে একজন উপদেষ্টার ব্যাগ থেকে গুলির এমন ম্যাগাজিন উদ্ধার নিয়ে। সাফাইয়ের সুরে আসিফ বলেন,'নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের ওপরে যেভাবে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে কয়েক দফা তাতে রাখাটাই স্বাভাবিক। যখন সরকারি প্রটোকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের উদ্দেশ্যে লাইসেন্সড অস্ত্র রাখা।' ফলত, ইউনুস জামানায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা ফের একবার প্রশ্নের মুখে পড়ল আসিফের এই বার্তার পর। বাংলাদেশের এই উপদেষ্টা তাঁর নিজের অবস্থানের ব্যাখ্যার বার্তায় বলেন,'মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশগ্রহণের জন্য আজ ভোর ৬টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইট ছিল। ভোরে প্যাকিং করার সময় অস্ত্রসহ একটা ম্যাগাজিন রেখে এলেও ভুলবশত আরেকটি ম্যাগাজিন ব্যাগেই রয়ে যায়।' এর সঙ্গেই তাঁর বার্তা,' যেটা স্ক্যানে আসার পর আমার প্রটোকল অফিসারের কাছে হস্তান্তর করে আসি। বিষয়টি সম্পূর্ণ আনইন্টেনশনাল। শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব ভাই? ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্র রেখে আসতাম না। এখানে অবৈধ কিছু না থাকলেও অনেকের জন্যই এটা আলোচনার খোঁড়াক (খোরাক) বটে।'
( আগুন নেভাতে ব্যস্ত দমকল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি! ফের রক্তাক্ত আমেরিকা)
এদিকে, বাংলাদেশে আসিফের বিরুদ্ধে উঠতে শুরু করে আরও এক অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমকে চাপ দিয়ে এই সংক্রান্ত সংবাদ সরানোর অভিযোগটি অস্বীকার করেন আসিফ। বাংলাদেশের এই উপদেষ্টার বার্তা,' চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই ঘটনার পর আমি টিমসহ টানা ১০ ঘণ্টা ফ্লাইটে ছিলাম। ট্রানজিটে নেমেও দীর্ঘক্ষণ পর অনলাইনে এসে দেখতে পাচ্ছি যে এত কিছু ঘটেছে।' বাংলাদেশের এই উপদেষ্টার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন। নিরাপত্তা ইস্যুতে আসিফের বার্তা, ‘নাগরিক হিসেবে আপনারও যদি নিরাপত্তাঝুঁকি থাকে, যথাযথ নিয়ম ফলো করে আপনিও অস্ত্রের লাইসেন্স করতে পারেন।’