শুভাংশু শুক্লাদের ঘরে ফেরা পিছোল! হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত?

পিছিয়ে গেল আন্তর্জাতিক স্পেশ স্টেশন থেকে শুভাংশু শুক্লাদের ঘরে ফেরা।বৃহস্পতিবার পৃথিবীতে ফেরার কথা থাকলেও, জানা গিয়েছে এখনই ফেরা হচ্ছে না তাঁর।কবে ফিরবেন পৃথিবীতে, তার দিনক্ষণও ঘোষণা করা হয়নি।ফলে সুনীতা উইলিয়ামসের মতো মহাকাশে থাকার মেয়াদ বাড়ল শুভাংশু শুক্লারও।

গত ২৫ জুন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা। ২৮ ঘণ্টা সফর করে ২৬ জুন পৌঁছন স্পেস স্টেশনে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আরও তিন মহাকাশচারী। ১৪ দিনের মিশন ছিল তাঁদের। সেই হিসাবে ১০ জুলাই তাঁদের আবার পৃথিবীর বুকে ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা হচ্ছে না।সময় পিছিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক কারণ হিসেবে গবেষণার কিছু শেষ মুহূর্তের কাজ বাকি থেকে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।সেক্ষেত্রে অহেতুক তাড়াহুড়ো করার পক্ষপাতি নয় ইলন মাস্কের সংস্থা।ফলে হাতে এখনও সময় আছে। খাবার এবং অক্সিজেন-সহ পর্যাপ্ত রসদ স্পেসএক্স মহাকাশ যানে মজুদ আছে। তাই সম্পূর্ণ গবেষণা শেষ করার পরেই ডি ডকিং অর্থাৎ মূল স্পেসএক্স থেকে ড্রাগন ৯-এর বিচ্ছিন্ন করণ প্রক্রিয়া শুরু হবে।

আরও পড়ুন-'সমস্যা সময় নিয়ে!' ভোটার তালিকা সংশোধনে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

ফলে আপাতত শুভাংশুদের পৃথিবীতে ফেরার পরিকল্পনা স্থগিত করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। নাসার তরফে এই বিষয়ে কোনও তথ্য জানানো না হলেও, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে, তাদের মহাকাশচাকী স্লায়োজ উজানস্কি ১৪ জুলাইয়ের পরে পৃথিবীতে ফিরবেন। অর্থাৎ শুভাংশুদের এখনই পৃথিবীতে ফেরা হবে না।বস্তুত অ্যাক্সিয়ম-৪ মিশনের অধীনে শুভাংশু ও বাকি তিন মহাকাশচারী ৩১টি দেশ মিলিয়ে মোট ৬০টি বিষয়ে গবেষণা করছেন। শুভাংশু শুক্লা ইসরো-নাসার অধীনে মাইক্রো-গ্র্যাভিটি সহ ৭টি বিষয় নিয়ে গবেষণা করছেন। ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের স্টোরেজ ফ্রিজারে মুগ ও মেথি উৎপাদন করেছেন।

আরও পড়ুন-'সমস্যা সময় নিয়ে!' ভোটার তালিকা সংশোধনে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের

এই অভিযানের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত শুভাংশু শুক্লার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ১৮ মিনিটের সরাসরি কথোপকথন। প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন, প্রথম মহাকাশ দর্শনে তাঁর অনুভূতি কী ছিল। জবাবে শুক্লা বলেন, 'মহাকাশ থেকে কোনও সীমানা দেখা যায় না। পৃথিবীটা একটা অভিন্ন গ্রহের মতো দেখায়। আর ভারত? এক কথায় অসাধারণ।' পাশাপাশি গত ৩ ও ৪ জুলাই শুভাংশু শুক্লা সরাসরি মহাকাশ থেকে যুক্ত হন তিরুবনন্তপুরম, বেঙ্গালুরু এবং লখনউ-এর স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে। যার মধ্যে ছিল তাঁর নিজের প্রাক্তন স্কুল সিটি মন্টেসরি স্কুলও। ৫০০-র বেশি ছাত্রছাত্রী এই ‘স্পেস টু আর্থ’ লাইভ ইন্টারঅ্যাকশনে অংশ নেয়।