দিল্লিতে প্রেমিকাকে পাঁচতলার ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দিয়ে খুনের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির অশোক নগরে।অভিযুক্ত তৌফিক উত্তরপ্রদেশের রামপুরের বাসিন্দা। গা ঢাকা দিয়েছিল ওই যুবক। এরপর মঙ্গলবার রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, নেহা (১৯) নামের ওই তরুণীর সঙ্গে কয়েক মাস ধরে সম্পর্ক ছিল অভিযুক্ত তৌফিকের।কিন্তু সম্প্রতি অন্য মেয়ের সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়েছিল প্রেমিক তৌফিকের। যা মানতে পারেননি নেহা। তাঁর দাবি ছিল, অন্য কাউকে নয়, তাঁকেই বিয়ে করতে হবে। কিন্তু রাজি হননি তৌফিক। তাই পথের কাঁটা সরাতে বোরখা পরে নেহার বাড়িতে ঢুকে পরে তৌফিক। এরপর নেহাকে পাঁচতলার ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৌফিকের বিরুদ্ধে। এরপরেই পালিয়ে যায় তৌফিক। অন্যদিকে, গুরুতর আহত অবস্থায় নেহাকে গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন-'৩৫ টুকরো করব!' ফুলশয্যার রাতে স্বামীকে হুমকি নববধূর, তারপর যা হল...
নেহার বাবার অভিযোগ, পাঁচতলার ছাদে জলের ট্যাঙ্ক দেখতে গিয়েছিলেন নেহা। আগে থেকে সেখানেই লুকিয়ে ছিল তৌফিক। নিজের পরিচয় লুকোতে বোরখা পরেছিল সে। তৌফিককে দেখেই রেগে যান নেহা। দু’জনের মধ্যে প্রবল বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই নেহাকে ধাক্কা মেরে ছাদ থেকে ফেলে দেন তৌফিক। তারপর চুপচাপ বেরিয়ে যান। গোটা দৃশ্য ধরা পড়েছে সিসিটিভি-র ফুটেজে।সেখানে দেখা গেছে, বোরখা পরা এক ব্যক্তি বাড়িতে প্রবেশ করছে এবং কিছুক্ষণ পরে চলে যাচ্ছে। তদন্তকারীরা পুরো ঘটনার সময়সূচি পুনর্গঠনের জন্য আশেপাশের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছেন।
আরও পড়ুন-'৩৫ টুকরো করব!' ফুলশয্যার রাতে স্বামীকে হুমকি নববধূর, তারপর যা হল...
নেহার পরিবার ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ এড়াতে তৌফিক বোরখা পরেই বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তৌফিক স্বীকার করেছেন যে, সে সরাসরি নেহার কাছে যাওয়ার জন্য ছদ্মবেশ ব্যবহার করেছিলেন যাতে কেউ সন্দেহ না করে।তবে প্রেমের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছে নেহার পরিবার। নেহার বাবার দাবি, তৌফিকের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। বরং নেহা ভাই হিসেবে দেখতেন তৌফিককে। প্রতি বছর রাখীও পরাতেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তৌফিককে তাঁরা ৩ বছর ধরে চিনতেন। প্রায়ই তাঁদের বাড়িতেও আসতেন তৌফিক। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার জোরদার তদন্ত চলছে।