কসবা কাণ্ডে এমনিতেই শাসক দল। সেই আবহে গুরুতর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে। ফালাকাটা ব্লকের কুঞ্জনগরে ওই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মহিলাদের মারধরের গুরুতর অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তীরে রয়েছেন কুঞ্জনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য অসিত কর। শুক্রবার বিকেলে গ্রামে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রকল্প ঘিরে উত্তেজনার জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, এটা চক্রান্ত। (আরও পড়ুন: মহিলাদের ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর,কবে থেকে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে বাড়তি টাকা)
আরও পড়ুন: মহিলাকে চুলের মুঠি ধরে গাড়িতে তোলার অভিযোগ পুরুষ পুলিশের বিরুদ্ধে, ক্লোজ ASI
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে রাস্তার মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন অসিত। এরপর হঠাৎই রেগে গিয়ে মহিলাদের লক্ষ্য করে কিল ঘুষি মারেন। কাউকে গলায় ধাক্কা মারেন, আবার কাউকে লাথি মারেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা) সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন নিজের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ-র চাপেও বড় পদক্ষেপ করতে পারে রাজ্য, বেতন কাঠামোয় আসতে পারে বদল)
আরও পড়ুন: ২৫% বকেয়া ডিএ ইস্যুতে রাজ্যকে চাপে ফেলার 'হাতিয়ারে' ধরা পড়ে ত্রুটি, তারপর...
অভিযোগকারীদের মধ্যে একজন গৃহবধূ জানান, পঞ্চায়েত সদস্য তাঁকেও মারেন, তাঁর বৃদ্ধা শাশুড়িকেও ধাক্কা দেন। আরও অনেক মহিলা আক্রান্ত হয়েছেন। থানায় অভিযোগ জানিয়েছন তাঁরা। এদিকে, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত অসিত করের ফোন বন্ধ। তাঁকে আর পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: বাংলার ভোটের আগে BJP-র সভাপতি নির্বাচনে থাকতে পারে বড় চমক, চর্চায় আছেন কারা?)
আরও পড়ুন: ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে সংযোজন, নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি সেন্ট্রাল স্কুল সার্ভিস কমিশনের
পুরো ঘটনা ঘিরে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এক্স পোস্টে লিখেছেন, ‘তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে মা বোনেরা একদমই সুরক্ষিত নয়। প্রতিনিয়ত রাজ্যের প্রায় সর্বত্র মহিলারা তৃণমূল নেতা কর্মীদের হাতে অত্যাচারিত, লাঞ্ছিত হচ্ছেন। আসলে তৃণমূলের পরিচয় এটাই। মহিলাদের প্রতি এদের সামান্য সম্মান টুকুও নেই। রাজ্যের মহিলারা তৃণমূল দলের ছোটো বড় নেতাদের হাতে নিয়মিত নির্যাতিত হচ্ছেন, ধর্ষিত হচ্ছেন, লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন। আলিপুরদুয়ারের এই ঘটনার আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি এবং প্রশাসনের কাছে ঐ দুই পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’