রথযাত্রা উৎসবের আর বেশিদিন বাকি নেই। আর এই উৎসব শুরুর আগেই রাজ্যের প্রত্যেকটি বাড়িতে পৌঁছে যাবে দিঘার জগন্নাথধামের ছবি ও প্রসাদ। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন করে প্রত্যেক বাড়িতে প্রসাদ পাঠানো হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রথ উৎসবের প্রাক্কালে সেই কাজ শুরু করতে চলেছে নবান্ন। আগামী ১৭ জুন তারিখ থেকে প্রত্যেক নাগরিকের বাড়িতে প্রসাদ পাঠানোর কাজ শুরু করবে প্রত্যেকটি জেলা প্রশাসন। শহর–শহরতলি, জেলা সব জায়গায় পাঠানো হবে একটি ‘বিশেষ বাক্স’। এই বাক্স পাঠাচ্ছে কেন রাজ্য সরকার? কী থাকবে তাতে? কৌতূহল নাগরিকদের।
এই ‘বিশেষ বাক্স’ পাঠানোর কাজ রথযাত্রার (২৭ জুন) মধ্যে সম্পূর্ণ করতে সময়সীমা বেঁধে দিল নবান্ন। কোনও কারণে যদি তা না হয় তাহলে উল্টোরথের (৪ জুলাই) মধ্যে এই কাজ শেষ করতেই হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। নবান্ন সূত্রে খবর, দিঘার জগন্নাথধামের প্রসাদ প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্য়েই পরিকল্পনা সেরে নিয়েছে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর। জেলার এসডিও ও বিডিওদের কাছে পৌঁছেছে বিশেষ নির্দেশিকাও। রাজ্য সরকারের পাঠানো ওই ‘বিশেষ বাক্স’ আসবে ঠিক রথের আগেই।
আরও পড়ুন: রাজ্য বিধানসভার নাম–ছবি দিয়ে খুলল ফেসবুক পেজ, ফেক নাকি সত্যি? তদন্ত শুরু
কী থাকবে ওই বিশেষ বাক্সে? নবান্ন সূত্রে খবর, সুন্দর ওই বিশেষ বাক্সে জগন্নাথদেবের প্রসাদ হিসেবে দু’টি পৃথক প্লাস্টিকের জিপ প্যাকেট থাকবে। যার মধ্যে থাকবে খোয়া ক্ষীরের একটি হলুদ প্যাঁড়া এবং একটি মিষ্টি গজা। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে স্মারক হিসেবে দেওয়া হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের ছবি। এই ছবি সহ ‘বিশেষ বাক্স’ পাঠিয়ে দেওয়া হবে সর্বত্র। প্যাঁড়া এবং গজা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বিশিষ্ট মিষ্টি প্রস্তুতকারকদের। একটি প্যাকেট মিষ্টির জন্য ২০ টাকা করে বরাদ্দ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। ওই ‘বিশেষ বাক্সে’ প্যাঁড়া এবং গজা ন্যূনতম কত মাপের হতে হবে সেটাও জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন।
কেমন করে মিলবে ‘বিশেষ বাক্স’? তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর সূত্রে খবর, প্রসাদের ‘বিশেষ বাক্স’ প্যাকেজিং করার কাজ করবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। রাজ্যের খাদ্য দফতরের দুয়ারে রেশনের পরিকাঠামো ব্যবহার করে প্রত্যেক এলাকায় পৌঁছে দেওয়া হবে প্রসাদ বিতরণের কাজ। পাড়ায়, এলাকায় হবে মাইকিং। সেখানেই জানিয়ে দেওয়া হবে কোন দিন, কোথা থেকে এই প্রসাদ সংগ্রহ করতে হবে। যাঁরা আসবেন তাঁদের সকলকে প্রসাদ দেওয়া হবে। শীঘ্রই একটি এসওপিও জারি করা হবে। প্রসাদের বাক্স মজুত রাখার জন্য গুদাম ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতায় পুরসভার কাউন্সিলররাও উদ্যোগ নেবেন ‘বিশেষ বাক্স’ পৌঁছে দিতে। ইতিমধ্যেই এই ‘বিশেষ বাক্স’ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে।