নিম্ন দামোদর অঞ্চলে নদীবাঁধ সংস্কার, ড্রেজিং ও জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ করছে রাজ্যের সেচ দফতর। বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় চলা এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে বন্যা রুখতে নদীর পাড় মেরামত, ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের সংস্কার ও দুর্গাপুর ব্যারাজে প্রয়োজনীয় আধুনিকীকরণ। কিন্তু ঠিক এমন সময়েই রাজ্যের আপত্তিকে উপেক্ষা করে দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন (ডিভিসি) মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে লাগাতার জল ছাড়ছে বলে অভিযোগ। যার জেরে সমস্যা হচ্ছে এই মেরামতের কাজে।
আরও পড়ুন: বন্যা পরিস্থিতি ‘ম্যান মেড’, সরব মমতা, ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের সময় বেঁধে দিলেন
১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছে ডিভিসির জলছাড়া, যা চলেছে টানা ১৭ দিন। গত মঙ্গলবার রাতে ডিভিসি জানিয়ে দেয় জলছাড়ার পরিমাণ আরও বাড়বে। সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানিয়ে চিঠি দেন রাজ্যের সেচ দফতরের মুখ্য বাস্তুকার। তাতে স্পষ্টভাবে বলা হয়, এই সময় নদীর জলস্তর বাড়লে নিম্ন দামোদরে যে বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে, তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার অভিযোগ, গত বছর ডিভিসি যখন হঠাৎ করে একযোগে প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছেড়ে দেয়, তখন দামোদরের একাধিক বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই ক্ষয়ক্ষতি সারানোর কাজ এখনও শেষ হয়নি। তার আগেই ফের বিপুল হারে জল ছাড়ছে ডিভিসি।
জানা যাচ্ছে, পাঞ্চেত থেকে ৪২,৫০০ কিউসেক এবং মাইথন থেকে দিনে ১২০০ একর ফুট হারে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় ডিভিআরআরসি (দামোদর ভ্যালি রিজার্ভার রেগুলেশন কমিটি)। এই কমিটির সদস্য রয়েছে ডিভিসি, সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন ও ঝাড়খণ্ড সরকার। ডিভিআরআরসির মেম্বার সেক্রেটারি সঞ্জীবকুমার জানান, ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট ও কোনার থেকে প্রচুর পরিমাণে জল পাঞ্চেত ও মাইথনে জমা হচ্ছে। ফলে জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। আবার ৫ জুলাই থেকে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাসও রয়েছে। তাই বাঁধ রক্ষার জন্য জল ছাড়া জরুরি।