আবার জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। আর ফের পরাজয়ের মুখ দেখল বিজেপি। আর এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সবুজ আবিরে ঢাকল গ্রামবাংলার মাটি। এই সমবায় নির্বাচনে জয় পেতে প্রচারে আসতে হয়েছিল বিজেপি সাংসদ এবং বিধায়ককে। কিন্তু তারপরও দেখতে হল পরাজয়। হ্যাঁ, ভগবানপুরের সমবায় নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সবুজ ঝড়ে কাত হয়ে পড়ল বিজেপি। বুধবার ভগবানপুর ২ ব্লকের বাজকুল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির প্রতিনিধি নির্বাচনে এটাই ফলাফল হয়েছে। এখানে মোট আসন ছিল ৪৩। তার মধ্যে ২২টিতেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি আসন পেয়েছে বিজেপি। সুতরাং সংখ্যাগরিষ্ঠতার নিরিখে বোর্ড গড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসই।
প্রধান বিরোধী দল নানা কুৎসা, অপপ্রচার এবং নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুললেও ভোট এখানে পড়েছে উন্নয়নের নিরিখে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। ঘাসফুলের দাপট থাকায় পদ্মফুল ঝড়ে পড়েছে এই সমবায় নির্বাচনে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে উন্নয়ন হয়েছে তার জেরেই মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসেরই পাশে আছেন। সেখানে বিরোধীরা এঁটে উঠতে পারছে না বলে দাবি শাসকদলের নেতা–কর্মীদের। এই সমবায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে উত্তেজনা ছিল তুঙ্গে। তবে অন্যান্য সমবায় নির্বাচনেও জিতেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: ডাক পেলেন না বিধায়ক এবং সাংসদ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠান ঘিরে বিতর্ক বন্দর শহরে
ভগবানপুর বিধানসভায় এখন লোকসভার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও এই এলাকায় জেতেন বিজেপি প্রার্থী। তাই এই এলাকার সমবায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশায় ছিল বিজেপি। যদিও সে আশা নিরাশায় পর্যবসিত হয়। এখানে কড়া পুলিশের নিরাপত্তায় নির্বাচন হয়। জয়ের পরই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, সমিতির সার্বিক উন্নয়নে নতুন বোর্ড কাজ করবে। আর পরাজয়ের কারণ দলীয়ভাবে খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছে বিজেপি। এই সমবায় নির্বাচনে দুই দলের সংঘর্ষ এড়াতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা ছিল।
তাছাড়া এই সমবায় নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই সবুজ আবির মেখে মিষ্টিমুখ করে উল্লাসে মেতে ওঠেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এবং নেতা–কর্মীরা। এই সমবায় আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের হাতেই ছিল। ৬ মাস আগে মেয়াদ শেষ হয়। এই সমবায় গড়বাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। এই পঞ্চায়েত এখন তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। আর এই সমবায়ে মোট ১০৪০ ভোটারের মধ্যে মোট ভোট পড়েছে ৯৬৭টি। জয়ী প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানব পড়ুয়া বলেন, ‘এলাকার প্রধান, অঞ্চল সভাপতিরা বিজেপির দিকে ঝুঁকে ছিলেন। কিন্তু মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই জিতিয়েছেন। কারণ তাঁরা জানেন, স্বচ্ছ সমবায় গড়তে তৃণমূল কংগ্রেসই ভরসা।’