বর্ষা সবেমাত্র শুরু হয়েছে। আর তার মধ্যেই বিভিন্ন বাজারে ঢুকতে শুরু করেছে ছোট মাপের ইলিশ। অথচ নির্দিষ্ট মাপের থেকে ছোট ইলিশ যে ধরা যাবে না তা নিয়ে সরকারের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তা সত্ত্বেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা দৌলতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সহ বিভিন্ন বাজার ভরে গিয়েছে ছোট মাপের ইলিশ মাছে। এই অবস্থায় প্রশাসনের কাছে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানালেন মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন: মরশুমের শুরুতেই ডায়মন্ডহারবারের বাজারে ঢুকল ইলিশ, বর্ষায় কত টাকায় মিলছে?
অভিযোগ উঠছে, সমুদ্রে মাছ ধরার দ্বিতীয় পর্যায় থেকেই বেআইনিভাবে ছোট মাপের ইলিশ মাছ ধরার প্রবণতা বেড়েছে। আর এই কাজ করছে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী। মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগেই একের পর এক ট্রলার সমুদ্র থেকে মাছ ধরে বন্দরে ফিরেছে। তার মধ্যে বেশ কিছু ট্রলারে ছোট ইলিশ ভর্তি ছিল। সেই সমস্ত ছোট ইলিশ বরফ চাপা দিয়ে লুকিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে ডায়মন্ডহারবার এবং শিয়ালদার মতো বড় বড় মাছের বাজারের।
মৎসজীবীদের দাবি, সাধারণত সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২৩ সেন্টিমিটারের কম মাপের ইলিশ ধরা যায় না। এই সাইজের ইলিশের ওজন সাধারণত ২৫০ গ্রাম বা তারও কিছুটা বেশি হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়, এই মাপের ইলিশ যাতে জালে না ওঠে তার জন্য জালের ফাঁস কত মাপের হতে হবে সেই নির্দেশিকাও রয়েছে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী, জালের ফাঁসের মাপ কোনওভাবেই ৯০ সেন্টিমিটারের থেকে ছোট হলে চলবে না। কিন্তু, সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে তার থেকেও ছোট মাপের ফাঁস ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে এত ছোট মাপের ইলিশ মাছ জালে উঠেছে বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় মৎসজীবীদের সংগঠনগুলি প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য, যারা অতীতে এইভাবে ছোট ইলিশ মাছ ধরেছিলেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন। এবারও এখন থেকেই পদক্ষেপ করতে হবে। তবে এই প্রবণতা রক্ষা যাবে।