আকবর যে স্কুটার চালাত সেটা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই স্কুটারে করেই অপারেশন করা হতো। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত কি না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আকবর আর রাবিয়ার বাড়়ি রহড়া থানা এলাকার ঈশ্বরীপুর এলাকায়। এই দম্পতি কেপমারি, লুট, পকেটমারি করে বেড়ায়। তারপরই হাত সাফাই করত। তারা টার্গেট করত প্রবীণদের।
ধৃতদের নাম আকবর আলি এবং রাবিয়া বিবি।
সিনে পর্দার ‘বান্টি আউর বাবলি’র সঙ্গে খুব পার্থক্য নেই আকবর আলি এবং রাবিয়া বিবির। কারণ রুপোলি পর্দায় ছিল ঠগের গল্প। আর ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় এই দম্পতিই মানুষজনকে টুপি পরিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সঙ্গে রয়েছে পকেটমারির ঘটনাও। তবে কমিশনারেটের কর্তাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে তারা এখন শ্রীঘরে। উদ্ধার হয়েছে মোট ৭৪ হাজার টাকা এবং একটি স্কুটার।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? স্থানীয় সূত্রে খবর, এই দম্পতির কর্মকাণ্ডে ঘুম উড়ে যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ ও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের। গত কয়েকমাস ধরেই তারা কমিশনারেটের নানা এলাকায় বহু মানুষকে ঠকিয়ে টাকা হাতিয়ে চম্পট দিয়েছে। তারা টার্গেট করত প্রবীণদের। ব্যাঙ্ক থেকে তাঁরা টাকা তুলে বেরলেই পিছু নিত ওই দম্পতি। তারপরই হাত সাফাই করত। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি, জেঠিয়া, খড়দা, নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত, হাবড়া–সহ একাধিক থানা এলাকায় তারা অপারেশন চালিয়েছে।