ইংল্যান্ড সিরিজে প্রথম তিন ইনিংসে ভারতীয় পেসার প্রসিধ কৃষ্ণার যা পারফরমেন্স, তাতে তাঁকে নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। গত টেস্টে একটা ইনিংসে ম্যারাথন বোলিংয়ের পর উইকেট পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু ইকোনমি দেখে বোঝা যাচ্ছিল না তিনি টেস্টে বোলিং করছেন না ওডিআই বা টি২০ ফরম্যাটে। ভারতীয় দলের এই পেসার এক লজ্জাজনক রেকর্ডের সামনেও দাঁড়িয়ে আছেন। কমপক্ষে ১০ টেস্টে খেললে বা ১০০০ বল করলে রেকর্ড বুকে জায়গা পাওয়া যায়। প্রসিধের যা পারফরমেন্স আর রান দেওয়ার যা প্রবণতা , তাতে তিনি অপন্দের এই টেস্ট রেকর্ডে নাম লেখাতেই পারেন, সব থেকে খারাপ ইকোনমির বোলারদের তালিকায়।
চলতি ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টে প্রসিধ কৃষ্ণা ৫.৫০ ইকোনমিতে ৭২ রান দিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে। একটা সময় তাঁর ৫ ওভারে রান সংখ্যা ছিল বিনা উইকেটে ৫০, অর্থাৎ টেস্টেই প্রায় ১০ ইকোনমিতে বোলিং করছিলেন তিনি। একটা ওভারে তো জেমি স্মিথ কৃষ্ণার বোলিংয়ে ২৩ রান তুলে নেন। গত টেস্টে পাঁচ উইকেট নিলেও একমাত্র বোলার হিসেবে তিনি ওই টেস্টে দুই ইনিংসেই ছয়ের ওপরে রান দিয়েছিলেন প্রতি ওভারে।
তাঁর এই পারফরমেন্স দেখেই ইংরেজ তারকা মাইকেল আথার্টন বলছিলেন, তিনি হলে এই টেস্টে কোনওমতেই প্রসিধকে খেলাতেন না। বরং কুলদীপকে নামাতেন। কৃষ্ণা এমনিতে ১৪০ গতিবেগে বোলিং করলেও বাউন্সার দেওয়ার ক্ষেত্রে সেই বলের গতি অনেকটা কমে যাচ্ছিল, যার ফলে সুবিধা পান স্মিথরা। এসব দেখেই আথার্টন বলছেন, ‘আমি হলে প্রসিধ কৃষ্ণাকে দলে নিতাম না। আমি কুলদীপ যাদবকে দলে নিতাম’।
আরেক তারকা পেসার বরুণ অ্যারন বলেন, ‘অনেকগুলো বাউন্সার করছে, কিন্তু বুঝতে হবে যে এই স্লো পিচে তো বাউন্সারের গতি বেশি থাকছে না, তাহলে এই বাউন্সারে লাভ কি? এত পরিমাণ শর্ট ডেলিভারির কোনও মানেই হয় না। সঠিক লেন্থে বোলিং করা উচিত ভারতের, যাতে স্টাম্পে বল থাকে। চাপ রাখতে হবে, যাতে ভুল করে ফেলে ’।