দলের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের আঁতাতের কথা স্বীকার করে বিস্ফোরক বয়ান দিলেন মালদার তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। রবিবার তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতীদের দলে জায়গা করে দিচ্ছে তৃণমূল।’ দীর্ঘদিন এই একই অভিযোগ করে আসছে বিজেপিসহ অন্য বিরোধী দলগুলি। এবার অবিকল একই অভিযোগ শোনা গেল কৃষ্ণেন্দুর কণ্ঠে।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুবাবু এদিন বলেন, ‘পিঠ বাঁচাতে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছে সমাজবিরোধীরা। তৃণমূলও তাদের জায়গা দিচ্ছে। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হচ্ছে। অবিলম্বে এদের দল থেকে বহিষ্কার করা উচিত।’বলে রাখি ঘটনার সূত্রপাত শনিবার। ওই দিন মালদার বৈষ্ণবনগরের বখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌলতপুরে জালনোট পাচারকারীদের ধরতে যায় কুম্ভীরা ফাঁড়ির পুলিশ। অভিযোগ, অভিযুক্তদের পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় কুম্ভীরা থানার ওসিসহ অন্য পুলিশকর্মীদের ওপর ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তাতে আহত হয়েছেন ওসিসহ ২ পুলিশ আধিকারিক ও ১ সিভিক ভলান্টিয়ার।এর পর তল্লাশি চালিয়ে বখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য সীমা বিবিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার করে তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা হবিবুর রহমানকেও। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের যোগাযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।দলের সঙ্গে কৃষ্ণেন্দুর সম্পর্ক বরাবরই অম্লমধুর। সঙ্গে বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্যও বিখ্যাত তিনি। তবে এবার কৃষ্ণেন্দুবাবুর মন্তব্যের সঙ্গে সহমত বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপির কথায়, আমরা আগে থেকেই বলছিলাম তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সাহায্যে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এবার সেই একই কথা বলছেন দলের প্রাক্তন মন্ত্রী। অর্থাৎ আমাদের অভিযোগ অমূলক নয়।