একটি বাড়ির ছাদে কিছু যুবক আতসবাজি জ্বালিয়ে আনন্দ উপভোগ করছিলেন। সেখান থেকে একটু আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। মণ্ডপে আগুন ধরেযেতে পারত। তখন পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিল একদল পুলিশকর্মী। বাজি পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দিতেই বিধায়ক মাইক্রোফোন নিয়ে পুলিশদের কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ।
শওকত মোল্লা। নিজস্ব ছবি
এবার পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ধমকালেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক শওকত মোল্লা। অভিযোগ উঠেছে, ভাঙড় মহাবিদ্যালয়ের ছাদে বাজি পোড়ানো হচ্ছিল। সেই খবর পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ কলেজে গিয়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজি পোড়াতে নিষেধ করে। আর তখনই বিধায়কের ধমকের মুখে পড়ে। ভাঙড়ে এমএলএ কাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষ হলে বাজি পোড়ানো হয়। তা বন্ধ করতে তৎপর হয় পুলিশ। তাই নিয়ে বিধায়কের ধমকের মুখে পড়তে হয় পুলিশ অফিসারদের। বিধায়ক শওকত মোল্লা গালিগালাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। শওকতের দাবি, তখন তিনি নিজে তৎপর না হলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারত।
এদিকে ভাঙড় কলেজে এমএলএ কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শওকত মোল্লা। সেখানে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল বলে অভিযোগ। রাতে সেখানে বাজি পোড়ানো চলছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি বাড়ির ছাদে কিছু যুবক আতসবাজি জ্বালিয়ে আনন্দ উপভোগ করছিলেন। সেখান থেকে একটু আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়ে। মণ্ডপে আগুন ধরেযেতে পারত। তখন পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে ছুটে এসেছিল একদল পুলিশকর্মী। বাজি পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দিতেই বিধায়ক মাইক্রোফোন নিয়ে পুলিশদের কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। শওকত মোল্লাও দলের কর্মীদের বাজি পোড়াতে নিষেধ করেন।
অন্যদিকে তখন ২৬টা পটকা একসঙ্গে ফাটবে এমন একটা বাজিতে আগুন ধরানো হয়েছিল। তাই কোনওভাবেই সেই বাজির নিয়ন্ত্রণ হাতে ছিল না কারও। সেটা থেকেই বিপদ ঘটতে পারত বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ তখন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাজি ফাটানো বন্ধ করতে বলে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার্স) ইন্দ্রবদন ঝাঁ ঘটনাস্থলে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতার করার হুঁশিয়ারি দেন। তখন তাঁরা বিধায়কের কাছে অভিযোগ জানান। আর তারপরেই বিধায়ক মেজাজ হারান বলে অভিযোগ।
আর কী জানা যাচ্ছে? এই অভিযোগ পাওয়ার পর তেতে ওঠেন বিধায়ক। শওকতকে বলতে শোনা যায়, ‘কারা এসব বলছে? কেন বলছে? বাজি পোড়ানো বন্ধ করতে বলার অধিকার কে দিয়েছে?’ এমন ধমকে বেস বিপাকে পড়েন পুলিশ অফিসাররা। তিনি পুলিশকে গালিগালাজ করেছেন বলে অভিযোগ উঠলেও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক শওকত মোল্লা। বিধায়ক দাবি করেন, তখন তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলেন। কারণ পুলিশের তাড়া খেয়ে অনেকে ছাদ থেকে পড়ে যেতে পারতেন। বিধায়কের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ পুলিশ বলে সূত্রের খবর।