হুগলি নদীর পথে এবার পরিবহণ দফতর নয়া উদ্যোগ নিল। প্রায় আট কোটি টাকা ব্যয় করে অত্যাধুনিক মানের নয়া জেটি নির্মাণ করছে রাজ্য পরিবহণ দফতর। এই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার নির্মীয়মাণ সেই জেটিঘাট পরিদর্শনে করলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে নানা সুবিধা–অসুবিধা নিয়ে কথা বলে সব জেনে নিলেন। হলদিয়া থেকে কলকাতা যাওয়ার সবচেয়ে দ্রুত পথ হিসেবে বহু মানুষ বেছে নেন কুকুড়াহাটি–রায়চক এবং কুকুড়াহাটি–ডায়মন্ডহারবার ফেরি সার্ভিসকে। এই কাজের পাশাপাশি রায়চক থেকে কুঁকড়াহাটি পর্যন্ত নদীপথে ‘রোরো জেটি’ চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে পরিবহণ দফতর। সুতরাং সহজেই গাড়ি–সহ যাত্রীরা নদী পারাপার করতে পারবেন।
এদিকে রায়চক এবং ডায়মন্ডহারবার থেকে ভেসেল কুকুড়াহাটিতে আসায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয় কুকুড়াহাটি জেটিঘাটে। একটিমাত্র জেটি থাকায় যাত্রী ওঠানামায় খুব সমস্যা হয়। পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী এই সমস্যার কথা শুনে নেন সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবহণ দফতরের কাছে কুকুড়াহাটিতে নতুন একটি জেটি তৈরির আবেদন জানান। তার জেরেই হলদিয়ার কুকুড়াহাটিতে শুরু করা হয়েছে অত্যাধুনিক মানের জেটি তৈরির কাজ। আর রোরো পরিষেবা চালু হলে কলকাতা থেকে গাড়িতে চেপে সরাসরি বার্জে করে গাড়ি পার হয়ে হলদিয়া এবং দিঘায় পৌঁছনো সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: রথের আগে প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছবে দিঘার জগন্নাথধামের ‘বিশেষ বাক্স’, কী থাকছে?
অন্যদিকে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, দু–তিন মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে নয়া জেটি তৈরির কাজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তা খুলে যাবে। পুরনো জেটি থেকে ডানদিকে কয়েক মিটার দূরেই তৈরি হয়েছে এই অত্যাধুনিক নতুন জেটি। আর সংযোগ করা হয়েছে পুরনোর সঙ্গে। নয়া এই জেটিতে থাকছে বিশ্রামের জায়গা এবং শৌচাগারও। নির্মীয়মাণ জেটির কাজের সঙ্গে রায়চক–কুকুড়াহাটির মধ্যে রোরো পরিষেবা চালুর জন্য জায়গাও পরিদর্শন করেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল, বিভাগীয় সচিব, মহকুমা এবং ব্লক প্রশাসনের অফিসাররা। এখানেই রোরো জেটি চালু করার বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ডহারবারের মহকুমাশাসক অঞ্জন ঘোষের সঙ্গে আলোচনা হয় পরিবহণ মন্ত্রীর।