টেট পাশ করার ছ'বছর পর সফল পরীক্ষার্থী জানতে পেরেছেন তিনি পাশ করেছেন। এর আগে টেট উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর নামই ওঠেনি। এই আবহে টেট উত্তীর্ণ উৎপল আচার্য নামের সেই ব্যক্তি আদালতে মামলা করেছিলেন। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে সেই মামলায় ১০ হাজার টাকার জরিমানা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, উৎপলবাবু ২০১৬ সালে টেট দিয়েছিলেন এবং পাশ করেছিলেন। তবে টেট উত্তীর্ণ হওয়ার বিষয়ে তিনি জানতে পারে ২০২২ সালের তালিকা প্রকাশের পর। এর মাঝে প্রাথমিক শিক্ষকের ইন্টারভিউতে বসার সুযোগও হারিয়েছেন তিনি।
কুপিয়ে খুন করা হল তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট পূর্ব গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুনপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যের নাম মৈমুর ঘরামি ওরফে ময়না (৪০)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের অর্জুনপুরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন মৈমুরের প্রতিবেশী শাজাহান মোল্লাও। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মগরাহাট থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে খুন করা হল নদিয়ার নাকাশিপাড়ায়। মৃত ব্যক্তির নাম খবীর শেখ (৪৫)। জানা গিয়েছে, বাড়ির দালানে বসে ভাত খাচ্ছিলেন খবীর। তখন তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে নাকাশিপাড়া থানার বীরপুরে এসে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূলের দিকে। তৃণমূল কংগ্রেসের নাকাশিপাড়ার ব্লক সভাপতি কনিষ্ক চট্টোপাধ্য়ায় এই ঘটনাকে 'অরাজনৈতিক' আখ্যা দেন।
কলকাতায় এবার ডেঙ্গিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৬। এম আর বাঙুরে মৃত্যু হল বারুইপুরের বাসিন্দা অনিমা সর্দারের। প্রথমে তিনি ভর্তি হন বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে অনিমা দেবীকে এম আর বাঙ্গুরে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়লেন অনিমা দেবী। এই ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র নিজে জানান, শহরে অনেক বাড়ি তালাবন্ধ পড়ে আছে। সেখানে কলকাতা পুরসভা সহজে ঢুকতে পারছে না। বহু জমির মালিককেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেই পরিত্যক্ত জমিতে মানুষজন ময়লাও ফেলেন। সেখান থেকে মশার উপদ্রব বাড়ছে।
কলকাতা লাগোয়া পঞ্চসায়রের অতিথিশালা থেকে বিরোধী জয়ী প্রার্থীদের অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেস এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, বৃহস্পতিবার বেশি রাতে গাড়ি করে এসে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ৩ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থী এবং ১ জন বাম সমর্থিত জয়ী নির্দল প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু আজ তাঁরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন, স্বেচ্ছায় গিয়েছেন। কেউ তাঁদের অপহরণ করেনি।