দীর্ঘ ১২ বছর পর ঘরোয়া ক্রিকেটে কামব্যাকটা ভালো হয়নি বিরাট কোহলির। তবে তাঁর রঞ্জিতে প্রত্যাবর্তন ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল সমর্থকদের মনে। কোহলিকে দেখার জন্য উপচে পড়েছিল ভিড়। বিরাটের রঞ্জি খেলা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল। রান না পেলেও কোহলি বন্দনায় কোনও কমতি ছিল না। অনেকে তো এরকমও বলতে থাকে যে বিরাট রঞ্জি খেলায় ধন্য হয়ে গেছে এই প্রতিযোগিতা! আর এই মন্তব্যের তীব্র আপত্তি জানালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিনি মনে করেন না যে কোনও ক্রিকেটারের জন্য কোনও লিগ ধন্য হয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি খেলতে নেমেছিল দিল্লি। প্রতিপক্ষ ছিল রেলওয়েজ। প্রথম দু’দিন খেলা দেখার জন্য ভিড় জমিয়েছিলেন প্রায় ১২ হাজার দর্শক। তবে ম্যাচে রান পাননি বিরাট। ১৫ বলে ৬ রান করেছিলেন তিনি। রেলওয়েজের পেসার হিমাংশু সাঙ্গওয়ানের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে গেছিলেন।
বিরাটের রঞ্জি কামব্যাক প্রসঙ্গে নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘অ্যাশ কি বাত’ অশ্বিন বলেন, ‘বিরাট কোহলির ক্ষেত্রে এটা দারুণ ব্যাপার। ও অত্যন্ত অনুপ্রাণিত। আমি সেটা জানি। তার উদ্দেশ্য টেস্ট ক্রিকেট খেলা এবং উন্নতি করা। আমি মনে করি ওর এখনও অনেক কিছু দেওয়া বাকি আছে। কিন্তু যেটা বলার সেটা হল তাকে দেখার জন্য ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আমার মনে হয় প্রতিটি রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে এমন ভিড় থাকা উচিত।’
অশ্বিন বলেছিলেন যে রঞ্জি ট্রফির নিজস্ব মাহাত্ম্য রয়েছে এবং এই টুর্নামেন্টটি দেশকে অনেক দুর্দান্ত ক্রিকেটার দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি একটি টুইট দেখেছি, যেখানে বলা হয়েছে - রঞ্জি ট্রফি ধন্য। আমি শুধু বলব, একটু খবর নিন। আপনি কি রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসও জানেন? এত বছর ধরে চলছে। এটি একটি প্রিমিয়র টুর্নামেন্ট। কিংবদন্তি ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর সবসময় রঞ্জি ট্রফি খেলতেন। টুর্নামেন্টে খেললে লাভবান হয় খেলোয়াড়রা। ক্রিকেটের জন্য খেলোয়াড়রা গুরুত্বপূর্ণ নয়, কিন্তু খেলোয়াড়দের জন্য ক্রিকেট খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
কোহলিকে আউট করা হিমাংশুর প্রশংসা করেছেন অশ্বিন। তিনি বলেন, ‘হিমাংশু সাঙ্গওয়ান একটি অসাধারণ বল ডেলিভারি করেছিল। ও একজন সাধারণ রঞ্জি ট্রফি বোলার নয়। সে একজন পরীক্ষিত পারফর্মার। ও অসাধারণ পারফর্মার। সে একটি ব্যতিক্রমী ডেলিভারি করেছিল (বিরাটের উইকেট)। প্যাড এবং ব্যাটের মধ্যে ফাঁক ছিল। এটি একটি ক্লাসিক বল ছিল এবং উইকেটের যোগ্য ছিল।’