শুনতে খারাপ লাগলেও একটা কথা সত্যি। ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্টে ব্যাটার হিসেবে বিরাট কোহলিকে মিস করেনি টিম ইন্ডিয়া। ব্যাটার হিসেবে রোহিত শর্মার অভাবও ঢেকে দিয়েছে যশস্বী জসওয়াল, শুভমন গিল, ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুলরা। কিন্তু তাঁদের দুজনকেই অধিনায়ক হিসেবে মিস করেছে ভারত। বিশেষ করে বিরাট কোহলিকে, তাঁর আগ্রাসী অধিনায়কত্বের জন্য।
মাঠে বিরাট কোহলির থাকা মানে প্রতিপক্ষ দলের ওপর স্নায়ুচাপ বজায় রাখা। আর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্নায়ুচাপে ভুগতে থাকা ব্যাটারদের একটা ভুলই মারাত্মক হতে পারে, সেই উদাহরণ অতীতে বহুবারই দেখা গেছে। টিম ইন্ডিয়ায় এখন নতুন যুগের শুরু হয়েছে সবেমাত্র। শুভমন গিল অধিনায়ক আর ঋষভ পন্ত সহ অধিনায়ক। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে গিলের সঙ্গে রোহিত, বিরাটের কতটা পার্থক্য রয়েছে সেটা বোঝা গেছিল পঞ্চম দিনে যখন লোকেশ রাহুল কার্যত ক্য়াপ্টেন্সির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিল।
ব্যাটাররা যেখানে বিশেষ করে টপ অর্ডার যেখানে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে স্বস্তি গিয়ে গেছে অল ইজ ওয়েল বলে, সেখানে বোলিং ডিপার্টমেন্ট এবং ক্যাপ্টেন্সি কিন্তু একদমই উচ্চমানের হয়নি। বুমরাহকে বাদ দিলে বাকিদেরকে দেখে বোলার বলেই মনে হচ্ছিল না, কাউন্টি ক্রিকেটের মধ্যমানের দলেও কৃষ্ণা, শার্দুলদের থেকে ভালো বোলারদের খেলতে দেখা যায়।
ট্যাকটিকালি দেখতে গেলে শুভমন গিলের ফিল্ড সেটিং দেখেই মনে হচ্ছিল, তিনি হয়ত ম্যাচটা ড্র করার দিকে হাঁটছিলেন। কারণ একটা সময় তিনিও বুঝতে পারছিলেন যে বুমরাহ ছাড়া এই দাঁতনখহীন বোলাররা কিছুই করে উঠতে পারবে না পঞ্চম দিনেও। তবে বিরাট থাকলে দলের বোলার থেকে ফিল্ডারদের মধ্যে যে স্বক্রিয়তা থাকে, সেটা লক্ষ্য করা যায়নি এই টেস্ট। গিলকে দেখে একটা সময় অসহায় মনে হচ্ছিল।
একটা সময় ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী বলেই ফেলেছিলেন ভারতীয় দলের ফিল্ডিংয়ের সময়, ‘আজকে বিরাট কোহলির মতো কাউকে চাই। এমন একজনকে রাখতে হবে বিরাট কোহলির মতো সম্মুখ সমরে লড়াই ছুঁড়ে দিতে পারে, তিনজনকে একাই ট্যাকেল করতে পারে ’।
এরপর শাস্ত্রীর সঙ্গেই সুর মেলালেন ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলে রবির সদস্য মদন লাল। এক্স হ্যান্ডেলে ভারতীয় ফিল্ডিং এবং বোলিংয়ের করুণ অবস্থা দেখে তিনি বলছেন, ‘যে আবেগ বা আগ্রাসন নিয়ে বিরাট কোহলি এই দলে এনে দিতে পারত, সেটা দেখতে পারছি না। তাই বিরাটকে সত্যিই মিস করছি, রবি শাস্ত্রী ঠিক কথাই বলছিল ’।