সোশাল মিডিয়ায় গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গেছে। এমনিতে অনেক কোচ ক্রিকেটাররাই বলে থাকেন, যে তাঁরা সোশাল মিডিয়ার কটুক্তিকে পাত্তা দেননা। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না ১৪০ কোটির দেশে সোশাল মিডিয়াও কিন্তু এখন একটা বড় মাধ্যম। যেটা টেলিভিশন বা সংবাদপত্রের থেকে খুব পিছনে নেই।
ইংল্যান্ড সফরের দল ঘোষণার ঠিক কিছুদিন আগেই বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার অবসরেই অনেকে গন্ধ পেয়েছিলেন, যে তাঁদের হয়ত চাপ দিয়েই একপ্রকার অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। নাহলে হঠাৎ করে সফরের ঠিক আগেই অবসর নিতে তাঁদের হত না, চাইলে পরেও অবসর নিতে পারতেন।
এরপর কিছুদিন আগে দেখা গেছিল, ইংল্যান্ডে ভারতীয় এ দলের হয়ে ভালো পারফরমেন্স করার পরেও অংশুল কম্বোজকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছিল অথচ প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে কলকাতা নাইট রাইডার্সে গম্ভীরের মেন্টরশিপে খেলা ছাত্র দিল্লির হর্ষিত রানাকে রাখা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া- ইংল্যান্ডে তার পারফরমেন্স তেমন ভালো না হওয়া সত্ত্বেও।
সিরিজ শুরুর আগে কোচ, নির্বাচক কেউই ভারতীয় দল নিয়ে কোনও অজুহাত দেননি। বরং শ্রেয়স আইয়ারদের যখন বাদ দেওয়া হয়েছিল নির্বাচকরাই জানিয়েছিলেন এটাই সেরা দল। গম্ভীরও মেনে নিয়েছিলেন যে এটাই সবথেকে ভালো স্কোয়াড। অথচ প্রথম ম্যাচে হারতেই টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ যুক্তি দিয়েছেন যে তাঁদের দলের বোলারদের অভিজ্ঞতা কম।
আর এই আবহেই এবার সোশাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছেন গৌতম গম্ভীর, কারণ তিনি যোগ্য ব্যক্তিকে সম্মান দেননি পারফরমেন্সের পর। হেডিংলে টেস্টে দুই ইনিংসেই শতরান করেন পন্ত। অধিনায়ক কোচের সবসময়ই উচিত এমন পারফরমেন্সে ক্রিকেটারদের প্রশংসা করা। কিন্তু সেটা না করে শুভমন গিল প্রথমে পন্তের উইকেটকিপিং নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, আর তারপর সাংবাদিক সম্মেলনে গম্ভীরের কাছে পন্তের পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তা এড়িয়ে যান। অর্থাৎ তাঁর পারফরমেন্সে লাইমলাইট না দিয়ে তিনি বাকি ব্যাটারদের প্রশংসা করেন।
গম্ভীর বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচে আরও তিনটে শতরানও রয়েছে, সেগুলো ভারতের পজিটিভ দিক। ধন্যবাদ। আমি খুশি হতাম যদি আপনারা বলতেন যে যশস্বী, লোকেশ রাহুলের শতরানের পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবে শুভমন অভিষেকেই শতরান করেছেন এবং পন্ত ২টি শতরান করেছেন। অর্থাৎ এক টেস্টে পাঁচটা শতরান রয়েছে। এভাবে শুরু করাটা খুবই ভালো, তবে আমি আরও ভালো প্রশ্ন আশা করেছিলাম ’।
যদিও গম্ভীরের এই পন্তের প্রাপ্য প্রশংসা না দেওয়া দেখেই সোশাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ ভয় পাচ্ছেন, তাহলে কি হর্ষিত রানাদের যেমন পছন্দ করেন হেড কোচ, পন্ত কি তেমন গুডবুকে নেই? তাহলে কি একটা, দুটো ম্যাচে ফ্লপ হলেই না পসন্দ পন্তকেও কাঁচি করে দেওয়া হতে পারে? এমনিতেই যেভাবে হর্ষিতকে প্রায় প্রতি সিরিজেই ব্যাক করেন গম্ভীর, আবার শ্রেয়স ভালো খেলেও জায়গা পাননা দলে। তা দেখেই অনেকে পক্ষপাতিত্বের গন্ধ পাচ্ছেন এবং পন্তকে নিয়ে চিন্তা করছেন, যাতে বাঁহাতি এই তারকা আবারও ক্রিকেট রাজনীতির স্বীকার না হন। যদিও এই এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টগুলো আগৌ কারা করেছেন, তাঁরা কোনও পিআর কিনা, সেটার বিষয়ে সত্যতা যাচাই করেনি HT বাংলা।