মহম্মদ শামি স্বীকার করেছেন যে, ভারতের একমাত্র প্রধান ফাস্ট বোলার হিসেবে তাঁর উপর অনেক গুরু দায়িত্ব রয়েছে। তবে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এবং দলের চাহিদা মেটাতে নিজের ছন্দে থাকতে মরিয়া থাকছেন। চোট সারিয়ে ফিরে আসার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে শামির কাছে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য চ্যালেঞ্জিং টুর্নামেন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ চোটের কারণে জসপ্রীত বুমরাহ এই টুর্নামেন্টে খেলতে পারছেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে জোরে বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শামি। তাঁকে সঙ্গত করছেন হর্ষিত রানা বা হার্দিক পান্ডিয়া।
হর্ষিত রানা এখনও নতুন। আর হার্দিক পান্ডিয়া একজন অলরাউন্ডার। তিনি সাধারণত ওয়ানডে ম্যাচে দশ ওভার বল করেন না। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত আট উইকেট নিয়েছেন শামি। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চার উইকেটের জয়ের পর মিক্সড জোনে শামি বলেন, ‘আমি আমার ছন্দ ফিরে পেতে এবং দলে আরও অবদান রাখার চেষ্টা করছি। দুই বিশেষজ্ঞ ফাস্ট বোলার দলে না থাকায় আমার দায়িত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন: রোহিত শর্মা কি Champions Trophy-র পরেই অবসর নিচ্ছেন? সোজাসাপ্টা জবাব কোচ গৌতম গম্ভীরের
শামি বলেছেন যে, জসপ্রীত বুমরাহের অনুপস্থিতিতে, তাঁর কাজের চাপ অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে তিনি নিজের ১০০ শতাংশেরও বেশি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। শামি বলেছেন, ‘যখন আপনি একমাত্র প্রধান ফাস্ট বোলার এবং অন্যজন অলরাউন্ডার, তখন দায়িত্ব অনেক বেড়ে যায়। উইকেট নিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হয়। আমি এটিতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি এবং আমি আমার ১০০ শতাংশেরও বেশি দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ ২০২৩ বিশ্বকাপের সময় গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন শামি। এবং দীর্ঘ বিরতিতে ছিলেন। তবে চোট সারিয়ে মাঠে ফেরার পর এখন তিনি জোরে বোলিংয়ের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন।
শামির দাবি, ‘আমি মনে করি না, কারও ফিটনেস নিয়ে খুব বেশি ভাবার দরকার আছে। আমাদের চেষ্টা করতে হবে এবং দেখতে হবে কীভাবে শরীর এটি গ্রহণ করে। দিনের শেষে আমরা সবাই শ্রমিক।’ শামি এর সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘আমি এখন লম্বা স্পেলে বল করতে প্রস্তুত। সংক্ষিপ্ত স্পেল সব সময় সহজ হয় এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দশ বা ছয় ওভার, যাই হোক না কেন, সেটা কোনও বিষয় নয়।’
সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন যে, ভারতীয় দল দুবাইয়ে সমস্ত ম্যাচ খেলছে, এর সুবিধা তিনি পেয়েছেন। তাঁর মতে, ‘এটা অবশ্যই উপকারী হয়েছে কারণ আমরা কন্ডিশন এবং পিচ খুব ভালো ভাবে বুঝি। সবগুলো ম্যাচ এক জায়গায় খেলে সুবিধা হয়েছে।’