2 মিনিটে পড়ুন Updated: 18 Aug 2023, 12:34 PM ISTTania Roy
তাঁর ওজন ১৪৩ কিলো। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা। ওই ওজন নিয়ে খেলা বেশি দিন চালিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন তারকারা রাহকিমকে ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে তিনি আরও ভালো ভাবে খেলতে পারেন। কিন্তু তাঁর ওজন কমার বদলে বেড়েছে।
হাস্যকর ভাবে রানআউট হলেন রাহকিম কর্নওয়াল।
তাঁর ওজন ১৪৩ কিলো। ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি লম্বা। বিশাল চেহারার রাহকিম কর্নওয়াল সবচেয়ে আনফিট ক্রিকেটারদের তালিকায় একেবারে উপরেই থাকবেন। আর তিনি যে কতটা আনফিট, সেটা প্রমাণ হল ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে। একটা সহজ রান নিতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে বসলেন তিনি। অত ভারী চেহারা নিয়ে তাঁর পক্ষে খরগোশের মতো দৌড়ানো সম্ভব নয়। কচ্ছপ গতিতে রান নিতে গিয়ে রানআউট হয়ে বসলেন রাহকিম। তাঁর রান আউটের ভিডিয়ো দেখে হাসাহাসি যেমন হচ্ছে, তেমনই এমন আনফিট প্লেয়ারকে খেলানো নিয়েই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
পেশাদার ক্রিকেটে ইদানীং বিশাল মোটা চেহারার কাউকেই খেলতে সেভাবে দেখা যায় না। কারণ এখনকার বেশির ভাগ প্লেয়ারই ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য সচেতন। আগের উনজামাম উল হক, অর্জুন রণতুঙ্গাদের দিব্যি ভারি শরীর, বিশাল ভুঁড়ি নিয়ে দাপটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ইদানীং সেই ঘটনা কম দেখা যায়। ভারতের সরফরাজ খানই যেমন মোটা হওয়ার জন্য ভারতীয় দলে সুযোগই পাচ্ছেন না। এখন মোটাদের মধ্যে বিশ্ব ক্রিকেট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকেন, তাঁদের মধ্য রাহকিম কর্নওয়াল অন্যতম।
কর্নওয়াল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জাতীয় ক্রিকেট দলের একজন অলরাউন্ডার। অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, প্রাক্তন তারকারা রাহকিমকে ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে তিনি আরও ভালো ভাবে খেলতে পারেন। কিন্তু তাঁর ওজন কমার বদলে বেড়েছে। যেটা তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে চাপের সৃষ্টি করেছে। এবং তাঁকে যে কোনও ক্রিকেট ম্যাচে খেলানো নিয়েই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (CPL) বার্বাডোজ রয়্যালস ও সেন্ট লুসিয়া কিংস মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে সেন্ট লুসিয়া কিংস ২০২ রানের টার্গেট দিয়েছিল বার্বাডোজ রয়্যালসকে। ওপেন করতে নেমে রাহকিম হাস্যকর ভাবে শূন্য রানে আউট হয়ে যান। ইনিংসের প্রথম বলটিই ওয়াইড হয়েছিল। অতিরিক্ত বলে ম্যাথিউ ফোর্ডকে শর্ট ফাইন-লেগে ফ্লিক করেন কর্নওয়াল। সেখানে ফিল্ডিং করছিলেন ক্রিস সোলে। এবং তিন রান নেওয়ার জন্য দৌড়ান। উল্টোদিকে কাইল মেয়ার্স ক্রিজে ঢুকে রাহকিমকে দেখছিলেন। আর উইন্ডিজ অলরাউন্ডার কচ্ছপের গতিতে রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে বসে থাকেন। সোলে পর্যাপ্ত সময় পেয়েছিল, বল ধরে সেটি সরাসরি উইকেটে মারার জন্য। যখন সোলে উইকেট ভেঙেছেন, তখন কর্নওয়াল সবে মাঝমাঠ পার করেছেন। যার জেরে প্রথম বলেই এক উইকেট হারিয়ে বসে থাকে বার্বাডোজ কিংস। হেসে গড়িয়ে পড়েন ধারাভাষ্যকাররাও।