প্রথম ইনিংসে একটা সময় ৩ উইকেটে ৪৩০ রান ছিল ভারতের। আর দ্বিতীয় ইনিংসে টিম ইন্ডিয়ার একটা সময় স্কোর ছিল ২৮৭/৩। অর্থাৎ টপ অর্ডার ব্যাটাররা ভারতকে বেশ সুবিধাজনক জায়গায় রেখেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে টিম ইন্ডিয়া কীভাবে এই টেস্টে হারল লিডসে, এর উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না অনেকেই। দুই ইনিংসেই ঋষভ পন্ত দুর্দান্ত শতরান করেন।
একটা দলের পাঁচজন ব্যাটার এক ম্যাচে শতরান করার পরও যে দল হারতে পারে, সেটাই শুভমন গিলের ভারত করে দেখিয়েছে। অবাক করার বিষয় হল, ব্যাটিংয়ে ভারতের ১১জনের মধ্যে ৪জনই শুধু ভালো খেলেছেন, আর বোলিংয়ে টিম ইন্ডিয়ার ২জন বোলার ৫টি করে উইকেট পেয়েছেন। বাকি প্রায় সকলেই ব্যর্থ। যদিও ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার যুবরাজ সিং কিন্তু এই ভারতীয় দলেরই ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী।
টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তনী বলছেন, ‘দুর্দান্ত টেস্ট ক্রিকেট দেখতে পাচ্ছি। আগ্রাসী, চ্যালেঞ্জিং, আবার ক্ষমার অযোগ্য। ভালো মানের পাঁচদিনের টেস্ট ম্যাচ দেখলাম, যেখানে ফলাফল যে কোনও দলের দিকেই যেতে পারত। আমাদের যুব দল লড়াই আর সাহসিকতার পরিচায় দিয়েছে, নিজেদের ওভর বিশ্বাস রেখেছে। যেটা আগামী দিনে ভারতকে অনেক সাফল্য দেবে। হয়ত এই ম্যাচে সামান্য দূরে থামতে হয়েছে, তবে সিরিজ এখনও ওপেন রয়েছে। এখনও অনেক খেলা বাকি ’।
ভারতীয় দলের আরেক প্রাক্তনী হরভজন সিং অবশ্য এখনই টিম ইন্ডিয়ার প্রথম একাদশে একটি পরিবর্তন চান। তাঁর মতে, এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্ট থেকে যদি টিম ইন্ডিয়া কুলদীপ যাদবকে দলে আনে, তাহলে ভারতীয় দলের বড় সুবিধা হতে পারে। ভাজ্জি বলছেন, ‘চাপটা এখন ভারতের ওপর রয়েছে, কারণ ওরা পিছিয়ে রয়েছে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমার মনে হয় কুলদীপ যাদবের খেলা উচিত পরের ম্যাচে, সেক্ষেত্রে ভারতের উইকেট নেওয়ার লোকের সংখ্যা বাড়বে। কার বদলে আনা হবে, সেটাই ভাবতে হবে। শার্দুল ঠাকুরকে ঠিকঠাক সুযোগ দেওয়া হয়নি। ওকে যখন আনা হল, তখন ইংল্যান্ডের আর ১০০-১২০ রান দরকার ছিল। ও কিন্তু কোনও ব্যাটার নয় যে একটু বোলিং পারে, শার্দুল কিন্তু একজন বোলার যে ব্যাটিং পারে। পরের টেস্টে এই পরিবর্তনগুলো করা দরকার। ইংল্যান্ডে সুযোগ কাজে লাগাতে হবে, নাহলে অনেক বড় দলই কিন্তু এখানে জিততে পারেনি। ৪৫০ রান প্রথম ইনিংসে করার পর যদি হারতে হয়, তাহলে সেটা সুযোগ হাতছাড়া হওয়ারই সামিল ’।