শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের সূচনা ওভারেই দেখা গেল দারুণ শুরু। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে ক্যামেরার ফ্রেমে ধরা পড়লেন এক ব্যতিক্রমী সমর্থক। বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে, গ্যালারিতে বসে একটি প্ল্যাকার্ড হাতে রেখেছেন, তাতে লেখা, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি বিয়ে করব না।’
ভক্তের বার্তা দেখেই কি লিটনরা UAE-র কাছে হেরে গেল? (ছবি : ফেসবুক)
Bangladesh fan's pledge in Sharjah: বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত বিয়ে করবেন না বাংলাদেশের এক ভক্ত! এমন প্ল্যাকার্ড দেখে অবাক ক্রিকেট বিশ্ব। সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকেই বলছেন, ‘এই ভক্তের আর বিয়ে করা হল না।’ অনেকে আবার বলেছেন যে, ‘বাড়ির লোক চাপ দিচ্ছে, আর ও বোধ হয় বিয়ে করবে না, সেই কারণেই এমন শর্ত দিয়েছেন ভক্ত।’ তবে এই বিষয়টা নিয়ে ক্রিকেট ভক্তেরা মজা করলেও টাইগারদের বর্তমান ক্রিকেটের ছবিটা ও সেই ক্রিকেট নিয়ে ভক্তদের বিশ্বাস এই একটি প্ল্যাকার্ড দিয়েই তুলে বোঝা যাচ্ছে। বাংলাদেশর ক্রিকেট নিয়ে এখনও স্বপ্ন দেখা ছাড়ছেন না তাদের ভক্তেরা।
শারজাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসের সূচনা ওভারেই দেখা গেল দারুণ শুরু। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে ক্যামেরার ফ্রেমে ধরা পড়লেন এক ব্যতিক্রমী সমর্থক। বাংলাদেশ দলের জার্সি গায়ে, গ্যালারিতে বসে হাতে তুলে ধরেছেন একটি প্ল্যাকার্ড। তাতে লেখা, ‘বাংলাদেশ বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমি বিয়ে করব না।’
এই সাহসী ঘোষণার ঠিক পরই যেন বদলে যেতে শুরু করে মাঠের চিত্র। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হঠাৎ ছন্দপতন, শেষ মুহূর্তের অবিশ্বাস্য ভুল আর নাটকীয় পরাজয়। অনেকের মতে, এটি শুধুই একটি ক্রিকেট ম্যাচ ছিল না—বরং এক গভীর মনস্তাত্ত্বিক নাটকের অংশ।
ভক্তের এমন আত্মত্যাগমূলক ঘোষণায় যেন চমকে গিয়েছিল গোটা দল। কেউ বলছেন বাজে ফিল্ডিং, কেউ শিশিরের প্রভাব, কেউ বললেন দুর্বল বোলিং। কিন্তু ভিতরের গল্পটা যেন ভিন্ন। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের একাংশ মজা করেই বলছেন—এটি ছিল দলের একটি পরিকল্পিত আত্মত্যাগ, সেই সমর্থককে বাস্তবতায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা।
ম্যাচের একটি বিশেষ মুহূর্তে, যখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যাটার মুহাম্মদ ওয়াসিম ৬৪ রানে ক্যাচ তুলে দেন, লং অফে থাকা হৃদয় ক্যাচটি নিতে ব্যর্থ হন। প্রশ্ন উঠেছে—এই সহজ ক্যাচ মিস করা কি শুধুই ভুল, নাকি প্ল্যাকার্ডের লেখা তখন হৃদয়ের চোখের সামনে ভেসে উঠেছিল?
আবার ১৯তম ওভারে শরিফুল ইসলামের একটি ওভার থ্রো থেকে চার রান—যেখানে সহজেই এক রানে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব ছিল। এবং সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ২ রানের দরকার, বল হৃদয়ের হাতে এসেও কেন থ্রো করা হল না?
সংযুক্ত আরব আমিরাত শেষ বলের আগেই ২ উইকেট হাতে রেখে ২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্য পেরিয়ে সিরিজে সমতা ফেরায়। এখন ৩ ম্যাচের এই সিরিজের ভাগ্য নির্ধারিত হবে শেষ ম্যাচে।
ভক্তের প্রতিশ্রুতি যেন আর্জেন্তিনার ভক্তদের কথা মনে করায়
এই ভক্তের প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দেয় ১৯৮৬ সালে মারাদোনার নেতৃত্বে আর্জেন্তিনার বিশ্বকাপ জয়ের পর পরবর্তী শিরোপার জন্য সমর্থকদের ৩৬ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার কথা। অনেকে তখন যুবক ছিলেন, এখন প্রবীণ। বাংলাদেশও হয়তো একদিন ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতবে, তবে সেই দিন অবধি এমন প্রতিশ্রুতি কতটা বাস্তবসম্মত—তা নিয়েই চলছে আলোচনা আর মজা।