হেডিংলে টেস্টটা এমনিতে দুর্দান্ত যাচ্ছে ভারতীয় উইকেটরক্ষক ব্যাটার ঋষভ পন্তের। ব্যাট হাতে টেস্টের দুই ইনিংসেই তিনি শতরান করেছেন। সহ অধিনায়ক হিসেবে দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর পন্ত বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এই দায়িত্ব পাওয়ার যোগ্য। মাঝের দেড় বছর যদি দুর্ঘটনার জন্য নষ্ট না হত, তাহলে পন্ত আজকে টেস্টে আরও পরিণত হয়ে উঠতে পারতেন।
লিডস টেস্টে ভারতের সহ অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পরই তিনি আম্পায়ারদের সঙ্গে বল নিয়ে সামান্য বাকবিতন্ডা করেন। মানে সেটাকে তর্কাতর্কি বাও ভুল। আম্পায়ারের কাছে বলের মাপ এবং আকার নিয়ে প্রশ্ন করেন পন্ত, যা আম্পায়াররা অতটা গুরুত্ব দেননি। এরপরই পন্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আর সেই জন্যই তাঁকে আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্ট ভাঙার অপরাধে শাস্তি দেওয়া হল।
আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের আর্টিকেল ২.৮-র ধারা অনুযায়ী অপরাধ করেছেন ঋষভ পন্ত। সেই ধারায় বলা হয়েছে, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও ক্রিকেটারের অসন্তোষ প্রকাশ আন্তর্জাতিক ম্যাচে। এর জেরে তাঁকে ১ ডিমেরিট পয়েন্টও দেওয়া হয়েছে। এটা গত ২৪ মাসে পন্তের প্রথম ডিমেরিট পয়েন্ট।
ঘটনাটি ঘটে টেস্টের তৃতীয় দিনে। ৬১তম ওভারে হ্যারি ব্রুক যখন মহম্মদ সিরাজের বলে চার মারেন, তখন আম্পায়ারের কাছে গিয়ে বলের মান নিয়ে প্রশ্ন করেন পন্ত। সেই সময় ফিল্ড আম্পায়ার পল রাইফেল বল মেপে বলেন, যে মাপ ঠিকই আছে। কিন্তু আম্পায়ারের সেই সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি পন্ত। এরপর বল একপ্রকার মাটিতে ছুঁড়ে দিয়েই অসন্তোষ ভরা মুখে তিনি নিজের পজিশনে ফিরছিলেন, এরপরই ইংল্যান্ডের সমর্থকরাও কটুক্তি করেন গ্যালারি থেকে।
পন্ত যেহেতু নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন, তাই রিচি রিচার্ডসনের দেওয়া শাস্তি নিয়ে আর কোনও আলাদা শুনানি হয়নি। ফিল্ড আম্পায়ার ক্রিস গফনি এবং পল রাইফেলের রিপোর্টের পরই পন্তের শাস্তির নিদান দেওয়া হয়। আইসিসির কোড অফ কন্ডাক্টের লেভেল ওয়ান অপরাধের জন্য ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ কাটা যায়, এবং সর্বোচ্চ ২ ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া যায়। প্রসঙ্গত হেডিংলে টেস্টের পঞ্চম দিনে ইংল্যান্ডের টার্গেট ৩৫০ রান আর ভারতের টার্গেট ১০ উইকেট।