২০২৩ সালে সৌম্য বক্সীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই ছিল তাঁদের বিয়ের জন্মদিন। বরের সঙ্গে কেক কেটে সেই সুন্দর দিনটি উদযাপনও করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে সেই উদযাপনের কোনও ছবি তখন সামনে আসেনি। অবশেষে সৌম্য মঙ্গলবার সেই ছবি অনুরাগীদের সামনে আনেন। ছবিতে সুদীপ্তা-সৌম্যকে একসঙ্গে কেক কাটতে দেখা যায়। তাঁদের সি মিষ্টি মুহূর্তের ছবি পোস্ট করে সৌম্য ক্যাপশনে মার্সেলিন ডেসবর্ডেস-ভালমোরকে কোর্ট করে লেখেন, 'ভালোবাসায় জড়িয়ে থাকা দুটো মনের কোনও শব্দের প্রয়োজন হয় না।'
তবে এই বিয়ের জন্মদিনের উদযাপনটা কোথায় সেরেছিলেন তাঁরা? দু'বছরের সংসার জীবনই বা কেমন কাটছে নায়িকার? সবটা নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন সুদীপ্তা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বামীর সঙ্গে ২য় দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকীর উদযাপন কীভাবে করেছিলেন নায়িকা? প্রশ্নে সুদীপ্তা বলনে, ‘সকলকে নিয়ে যে উদযাপন, সেটা এবার হয়নি। প্রথম বিবাহবার্ষিকীটা সেই ভাবে পালন করেছিলাম। আর এবার আমরা মানালী গিয়েছিলাম। সেখানে ৪ দিন ছিলাম। আমরা দু’জন খুব সুন্দর করে ওই দিনগুলো কাটিয়ে ছিলাম। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাদের যাওয়ার জন্য খুব উৎসাহ দিয়েছিলেন।'
তবে দেখতে দেখতে বিয়ের দুবছর পূর্ণ, অভিনেত্রীর সংসার জীবন কেমন কাটছে? প্রশ্নে নায়িকা বলেন, ‘আমাদের প্রতিটা দিন যে, খুব উত্তেজনায় কাটে তেমনটা নয়। আমরা দু’জনই আমাদের কাজ নিয়ে খুব সিরিয়াস। আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছোনর জন্য পরিশ্রম করি। তবে ভালো থাকাটা নির্ভর করে বোঝাপড়ারর উপর। একসঙ্গে থাকতে থাকতে বোঝা যায়, আমাকে কোথায় গিয়ে থামতে হবে। এখন সৌম্য আমাকে, আমার কাজের জায়গাটাকে অনেকটা বোঝে। আমার ক্ষেত্রেও তাই। আসলে বিয়ের আগে তো আমরা একই সংসারের মধ্যে ছিলাম না। তাই একে অপরের থেকে চাওয়া-পাওয়াটাও এই রকম ছিল না। কিন্তু এখন সেখানে চাওয়া পাওয়াগুলো বেড়েছে, পাশাপাশি বোঝাপড়াটাও। এখন আমরা ছুটি পেলে একে অপরকে সময় দিই। সবটা মিলিয়ে এই ভাবেই কেটে যাচ্ছে।'
তবে অভিনেত্রীর শ্বশুর বাড়ির সকলেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত এমনকী স্বামীও। সেই জায়গা থেকে তাঁরও কি রাজনীতিতে আসার কোনও সম্ভবনা রয়েছে? প্রশ্ন শুনে নায়িকার জবাব, ‘আমি তো অভিনেত্রী। আমাকে রাজনীতি করতে হবে এমনটা তো নয়। আর আমি রাজনীতির সম্পর্কে তেমন কিছু বুঝি না। আমাকে প্রথমে বুঝতে হবে। আমি ইচ্ছে প্রকাশ করলেই যে রাজনীতি করতে পারব তেমনটাও নয়।'
তিনি আরও বলেন, 'যদি সময় কোনও দিন আমাকে এই সুযোগ এনে দেয়। যদি আমাকে যোগ্য বলে মনে করা হয়। তখন যদি কেউ আমার কাছে এসে ইচ্ছে প্রকাশ করেন, সেই সময় আমিও ভেবে দেখব যে, আমি যথাযথ কিনা? আমি আদৌও কতটা জানি বা আমাকে কতটা জানতে হবে। কারণ আমার শ্বশুরবাড়ির পরিবার তো দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি রাজনীতির ক্ষেত্রে খুবই পরিচিত মুখ। সেই জায়গা থেকে আমি তো খুব বেশি কিচ জানি না। আর সৌম্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বলে ওঁকে বিয়ে করেছি এমনটা কিন্তু নয়, বা ভোটের টিকিটের জন্যও ওঁকে বিয়ে করিনি। আমরা তিন বছর ধরে প্রেম করে বিয়ে করেছি। আমার কাজটা ওঁর থেকে একদম আলাদা। কিন্তু পরবর্তীকালে কী হবে সেটা তো আমরা কেউই জানি না।’