নিজের ‘নিয়তি’ বুঝে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন মুশফিকুর রহিম। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চূড়ান্ত ব্যর্থতার পরে বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার জানান যে একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর সেটার নেপথ্যে যে লাগাতার ব্যর্থতা আছে, সেটাও স্বীকার করে নেন। মুশফিকুর বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহ আমার খুব চ্যালেঞ্জিং কেটেছে। আমি অনুভব করেছি যে এটাই আমার নিয়মিত। কোরানে আল্লাহ বলেছেন যে ওয়া তুইজ্জু মান তাশা' ওয়া তুযিলু মান তাশা। অর্থাৎ যাকে ইচ্ছা, তাকে তিনি সম্মান প্রদান করে থাকেন এবং যাকে ইচ্ছা করেন, তাকে অপমানিত করে থাকেন।’
যখনই মাঠে নেমেছি, ১০০ শতাংশের বেশি দিয়েছি, দাবি মুশফিকের
সেইসঙ্গে বাংলাদেশের তারকা বলেন, 'বিশ্বের মঞ্চে আমাদের সাফল্য সীমিত হলেও আমি একটা বিষয় হলফ করে বলতে পারি যে যখনই দেশের হয়ে মাঠে নেমেছি, তখনই নিষ্ঠা এবং সততার সঙ্গে নিজের ১০০ শতাংশের বেশি দিয়েছি।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং ফ্যানদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই। যাঁদের জন্য গত ১৯ বছর ধরে আমি ক্রিকেট খেলেছি।’
আগেই T20I থেকে অবসর নিয়েছিলেন মুশফিকুর!
তবে তিনি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে শুধুমাত্র একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছেন। টেস্ট খেলে যাবেন। আর ২০২২ সালেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছেন মুশফিকুর। তারপর থেকে শুধু একদিনের ক্রিকেট থেকে এবং টেস্ট খেলছিলেন। এবার থেকে একদিনের ক্রিকেটেও খেলবেন না বাংলাদেশের তারকা। যিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে বেশি সংখ্যক একদিনের ক্রিকেটের ম্যাচ খেলেছেন।
একদিনের ক্রিকেটে মুশফিকুরের পরিসংখ্যান
নিজের দীর্ঘ কেরিয়ারে ২৭৪টি একদিনের ম্যাচ (২৫৬টি ইনিংস) খেলেছেন। মোট ৭,৭৯৫ রান করেছেন। গড় ৩৬.৪২। ন'টি শতরান করেছেন। সেখানে অর্ধশতরানের সংখ্যা হল ৪৯টি। সর্বোচ্চ ১৪৪ রান করেছেন। সেই রেকর্ডটা বিশ্বমানের না হলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা খেলোয়াড় হলেন মুশফিকুর।
প্রায় ৩০ ইনিংসে শতরান পাননি মুশফিকুর!
তবে সম্প্রতি একেবারেই ফর্মে ছিলেন না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে মোটে দু'রান করেন। আর একদিনের ক্রিকেটে শেষ শতরান করেছিলেন ২০২৩ সালের ২০ মার্চ। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১০০ রান করেছিলেন। তারপর থেকে প্রায় ৩০টি ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু একবারও তিন অঙ্কের সংখ্যা পার করতে পারেননি।