অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দল যেখানে শেষ করেছিল, ইংল্যান্ডে যেন সেখান থেকেই শুরু করেছে। অস্ট্রেলিয়া সফরে যশস্বী জসওয়াল প্রথম টেস্টেই শতরান করেছিলেন, ইংল্যান্ডেও প্রথম টেস্টে তিনি শতরান করেছেন। পার্থ-এ যশস্বীর শতরানের পর বুমরাহই দুরন্ত স্পেল করে ভারতকে জিতিয়েছিলেন। এবার ইংল্যান্ডেও প্রথম টেস্টে সেই বুমরাহই ভারত আর ইংল্যান্ডের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু একা তাঁর পক্ষে কি ২০টা উইকেট নেওয়া সম্ভব? তাহলে তো আবারও ৪ টেস্ট খেলার পরই তাঁকে ৩ মাসের বিশ্রামে যেতে হবে চোটের জন্য। বাকি বোলাররা তাহলে আর কি জন্য রয়েছেন দলে?
দ্বিতীয় দিনে ভারতীয় দল যখন ৪৭১ রানে অলআউট হয়ে গেছিল, তখনই মনে করা হচ্ছিল টিম ইন্ডিয়াই রয়েছে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে। এরপর যখন প্রসিধ কৃষ্ণা, মহম্মদ সিরাজরা বোলিং শুরু করলেন, তখন বোঝা গেল বর্ডার গাভাসকর সিরিজের মতো এই সিরিজেও ভারতীয় দলকে ভোগাবে তাঁদের পেস অ্যাটাক। কারণ বুমরাহ একমাত্র ব্যতিক্রম হিসেবে ভারতকে টানতে পারেন, কিন্তু ৪জন বা ৫জনের বোলিংয়ের দায়িত্ব তাঁর একার পক্ষে নেওয়া সম্ভব নয়। দ্বিতীয় দিনে ১৩ ওভার বোলিং করে ইংল্যান্ডের তিনটি উইকেটই নিলেন বুমরাহ। সেখানে বাকি ৩৬ ওভার বোলিং করে শার্দুল, প্রসিধ, সিরাজরা একটা উইকেটও তুলতে পারলেন না, যা দেখে অত্যন্ত বিরক্ত ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রী।
বুমরাহ নিজের স্পেলে প্রথমে জ্যাক ক্রলিকে আউট করার পর বেন ডাকেটকে বোল্ড করেন। এরপর টেস্ট ক্রিকেটে রেকর্ড দশমবার জো রুটকেও আউট করেন বুমরাহ। এর মধ্যে যশস্বী, জাদেজারা হাতের ক্যাচও মিস করলেন। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের বাকিরা এতটাই নিষ্প্রভ ছিলেন যে বুমরাহ-র লড়াই তেমন কাজে লাগবে কিনা এই টেস্টে, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠে গেল।
রবি শাস্ত্রী যা দেখে বললেন, ‘আমি বুমরাহকে নিয়ে অত্যন্ত চিন্তিত আর কীভাবে এই সিরিজে ওর ওয়ার্কলোড নিয়ন্ত্রণ করা হবে সেটাও ভাবার বিষয়। ও একমাত্র বোলার যে উইকেট নিতে পারে যেই স্পেলেই বোলিং করুক না কেন। আমি আশা করব দলের বাকিদের মধ্যে থেকে কেউ হয়ত এগিয়ে আবে, আর ওকে সাহায্য করবে। ’