চলতি ভারত-ইংল্যান্ড হেডিংলে টেস্টে ভারতীয় দলের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছে সাই সুদর্শনের। গুজরাট টাইটান্সে খেলা এই ব্যাটার যে ছন্দে আইপিএলে খেলেছিলেন, সেই ছন্দে অবশ্য ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে খেলতে পারেননি। অভিষেক টেস্ট হওয়ায়, তাঁর কাছে থেকে খুব বড় কিছু আশা করাটাও কঠিন। প্রথম ইনিংসে চার বলে ০ রান করে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে সাই সুদর্শন নিজেকে কিছুটা শুধরে নেন। তিনি ৪৮ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের সময় তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নামার আগে সাই সুদর্শনের ছবিই ক্যাপচার করে সম্প্রচারকারী সংস্থা। সেখানেই তাঁকে দেখা যায় মাঠে নামার আগে মানসিক প্রস্তুতি নিতে। এরপরই খাতা পেন নিয়ে অনেকটা প্রাক্তন কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের ঢংয়ে কিছু লিখে রাখতে থাকেন সুদর্শন। এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় খাতা পেন নিয়ে সুদর্শন ম্যাচের বিভিন্ন পরিস্থিতি থেকে নোট লিখেছেন।
শেষ কয়েক বছর ধরেই ভারতীয় ড্রেসিংরুমে একটা চেনা চিত্র ছিল, নোটবুক সঙ্গে রাহুল দ্রাবিড়। তিনি প্রায় সব সময়ই একটা নোটবুক সঙ্গে রাখতেন, এবং কোথাও কোনও জিনিস লিখে রাখার কথা মাথায় এলেই তিনি তা টুকে নিতেন। সাই সুদর্শনও ঠিক তেমনভাবেই নিজের মতো করে ম্যাচের খুটিনাটি লিখে রাখলেন প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের সময়, যাতে পরের ম্যাচের আগে নিজের হোমওয়ার্কটা ভালোভাবে সেড়ে নিতে পারেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
সাই সুদর্শনকে এই ম্যাচে অভিমন্যু ঈশ্বরণের পরিবর্তে খেলানো হয়েছিল। ঘরোয়া ক্রিকেটে কিন্তু পারফরমেন্স বেশি ভালো ঈশ্বরণেরই। ফলে পরের ম্যাচে সাই সুদর্শন যে সুযোগ পাবেনই তা বলা যাচ্ছে না। কারণ গুরুত্বপূর্ণ তিন নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নেমে তিনি দুই ইনিংসেই তেমন নজর কাড়তে পারেননি। আর ইংল্যান্ডের বাকি সব মাঠে কিন্তু এমন শুকনো ব্যাটিং সহায়ক উইকেট থাকবে না। ফলে বাকি টেস্টে কাজটা ব্যাটারদের পক্ষে আরও কঠিন হতেই পারে। অবশ্য লর্ডস বরাবরই স্পোর্টিং উইকেট দেয়, তাই সেখানে বোলার-ব্যাটাররা সুবিধা পাবে সমানে সমানে, তা বলাই যায়।