লিডস টেস্টে টিম ইন্ডিয়ার বোলারদের ভরাডুবির পর ভারতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটিং পারফরমেন্সও প্রদীপের নিচের অন্ধকারে যেন চলে গেছে। শুভমন গিল, যশস্বী জসওয়াল, ঋষভ পন্ত, লোকেশ রাহুলদের শতরানে তেমন লাভ হয়নি, বরং যে ব্যাটাররা রান পায়নি তাঁরাও চলে এসেছেন প্রশ্নের মুখে। এই ম্যাচে অভিষেক হয়েছিল সাই সুদর্শনের। অনেক বছর পর টেস্টে কামব্যাক করেছিলেন করুণ নায়ারও। কিন্তু দলের যখন সব থেকে বেশি দরকার ছিল, তখন তাঁরা দুজনেই ফুল ফ্লপ হয়েছেন।
জুলাইয়ের ২ তারিখ থেকে বার্মিংহ্যামে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। এই টেস্ট ম্যাচ যদি টিম ইন্ডিয়া জিততে না পারে তাহলে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতের পক্ষে কামব্যাক করে ইংল্যান্ডের মাটিতে কঠিনই হবে। কারণ বার্মিংহ্যামে বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। আর এই মাঠে যদি ভারতীয় ব্যাটাররা জ্বলে না ওঠেন, তাহলে কপালে দুঃখ রয়েছে। কারণ এই টেস্টে বুমরাহ-র খেলা নিয়েও সংশয় রয়েছে। গত ম্যাচে তাঁকে প্রায় ২৫ ওভার বোলিং করতে হয়েছে, তাই বাড়তি ওয়ার্কলোড তাঁকেও দেওয়া যাবে না।
এই আবহেই ভারতের ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য সুনীল গাভাসকর টিম ইন্ডিয়ায় দুটি পরিবর্তনের আর্জি করেছেন। শার্দুল ঠাকুরকে দলে নেওয়া হলেও তিনি প্রথম টেস্টে নজর কাড়তে পারেননি। দুই ইনিংস মিলিয়ে তাঁকে সেভাবে বোলিংও দেননি গিল। ব্যাট হাতেও তেমন সফল নন শার্দুল। আর সুদর্শন এবং করুণ নায়ারের ব্যাট হাতে ব্যর্থতার পর গাভাসকর মনে করছেন, দরকারে টিম ইন্ডিয়ায় অলরাউন্ডার হিসেবে ওয়াসিংটন সুন্দরকেও দলে নিতে পারে, যাতে দুই বিভাগই শক্তিশালী হয়।
সানি বলছেন, ‘জসপ্রীত বুমরাহ ফিট থাকুন বা না থাকুন আমার মনে হয় কুলদীপ যাদবের প্রথমেই দলে আসা উচিত। শার্দুল ঠাকুরের পরিবর্তে ওর দলে আশা উচিত। কারণ বার্মিংহ্যামের পিচ যে ধরণের হয়, সেখানে রিস্ট স্পিনাররা একটু সুবিধা পেয়ে থাকে। যদি দ্বিতীয় টেস্টেও সাই সুদর্শন এবং করুণ নায়ারের পারফরমেন্সের উন্নতি না হয়, তাহলে আমি তাঁদের বসিয়ে দেওয়ার পক্ষে নই। তবে তখন ওয়াসিংটন সুন্দরের দিকেও একবার নজর দেওয়া হতে পারে, কারণ ও ভালো ব্যাটিং করতে পারে এই কন্ডিশনে আর বোলিংয়ের ক্ষেত্রেও ওর হাতে অনেক বৈচিত্র থাকে ’।