ইডেন গার্ডেন্সে মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে হার মানালেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন। কভারে অবিশ্বাস্য কায়দায় শূন্যে ভেসে মিচেল মার্শের অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার। দাসেন যখন ক্যাচটা ধরেন, তখন মাটির সঙ্গে পুরো সমান্তরাল ছিল তাঁর শরীর। যে ক্যাচটা একেবারে বাঁধিয়ে রাখার মতো। সেই ছবিটা যদি কখনও ইডেনে বাঁধিয়ে রাখা হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারণ ক্যাচটা এতটাই ভালো ছিল। আর এবার বিশ্বকাপের সেরা ক্যাচ হওয়ার দৌড়েও প্রবলভাবে থাকবে সেই ক্যাচ।
বৃহস্পতিবার ইডেনে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২১৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেই উইকেটটা যত না বেশি বোলার কাগিসো রাবাডার, তার থেকে বেশি ছিল দাসেনের। কারণ বলটায় একেবারেই চার লেখা ছিল। রাবাদা বলটা করতেই নির্ঘাত মার্শেরও চোখ জ্বলজ্বল করে উঠেছিল। যিনি তখন পাঁচ বলে শূন্য রানে ব্যাট করছিলেন। ড্রাইভ মারেন অজি ব্যাটার। কভারে নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে অবিশ্বাস্য ক্যাচ নেন দাসেন।
মার্শের ব্যাট থেকে বেরিয়ে বলটা কভারের দিকে আসছে দেখেই দাসেন নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নিজের শরীরটা পুরো শূন্যে ভাসিয়ে দেন। শরীরকে দিয়ে যতটা ডাইভ দেওয়া যায়, সেটার সর্বোচ্চসীমায় পৌঁছে যান প্রোটিয়া তারকা। দু'হাত দিয়ে বলটা তালুবন্দি করে নেন। ফলে সজোরে মাটিতে পড়লেও বলটা তাঁর থেকে ফসকে যায়নি। তারপরই ফেটে পড়েন উচ্ছ্বাসে। যে ক্যাচ দেখে হতবাক হয়ে যান ব্যাটার মার্শও।
দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ
বৃহস্পতিবার প্রথমে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ২১২ রান তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর সেটার জন্য যাবতীয় কৃতিত্ব প্রাপ্য ডেভিড মিলার এবং হেনরিখ ক্লাসেনের। তাঁরা পঞ্চম উইকেটে ৯৫ রান যোগ করেন। শেষপর্যন্ত ১১৬ বলে ১০১ রান করেন মিলার। ৪৮ বলে ৪৭ রান করে আউট হয়ে যান ক্লাসেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক এবং প্যাট কামিন্স।
সেই রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ছয় ওভারেই বিনা উইকেটে ৬০ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার (১৮ বলে ২৯ রান)। তারপর আউট হয়ে যান মার্শ (ছয় বলে শূন্য রান)। আপাতত ১৩ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর দুই উইকেটে ৯৮ রান। ট্র্যাভিস হেড খেলছেন ৫৫ রানে। সঙ্গে আছেন স্টিভ স্মিথ (সাত রান)।
আরও পড়ুন: World Cup 2023: নতুন ইতিহাস লেখা হল ইডেনে, বিশ্বকাপের ৪৮ বছরে এত সেঞ্চুরি আগে কখনও দেখা যায়নি