গত বছরের শেষ দিকে বড়দিনের সময় বক্সঅফিসে একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল ৪ টি ছবি। সেই সময় ‘খাদান’ ও ‘সন্তান’-এর দাপটের মাঝেও মন্দ ব্যবসা করেনি '৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন'। আর তার প্রমাণ প্রেক্ষাগৃহে ‘৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’-এর ৫০ দিন পূর্ণ হওয়ার খবর। নির্মাতাদের পক্ষ থেকেই এই কথা শুক্রবার ভাগ করে নেওয়া হয়।
'আমার কালেকশন কেন জানাব? টিকে আছে,হাল ছাড়েনি', ৫০ দিন পার, ৫ নং স্বপ্নময় লেন নিয়ে মানসী
গত বছরের শেষ দিকে বড়দিনের সময় বক্সঅফিসে একসঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল ৪ টি ছবি। সেই সময় ‘খাদান’-এর দাপটের মাঝেও মন্দ ব্যবসা করেনি '৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন'। আর তার প্রমাণ প্রেক্ষাগৃহে ‘৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’-এর ৫০ দিন পূর্ণ হওয়ার খবর। নির্মাতাদের পক্ষ থেকেই এই খবর একটি পোস্টের মাধ্যমে শুক্রবার ভাগ করে নেওয়া হয়। ছবির পরিচালক মানসী সিনহাও সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি পোস্ট করেন।
যে সময় '৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন' মুক্তি পেয়েছিল সেই সময় বাংলা ছবির হল পাওয়া নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তাছাড়াও আরও নানা সমস্যার মুখোমুখি পড়তে হয়েছিল এই ছবিকে। তবে এই সব মোটেও দমিয়ে রাখতে পারেনি নির্মাতাদের। ছবির পরিচালক মানসী সিনহা এবং ছবি প্রযোজনা সংস্থা ধাগা প্রোডাকশনের অন্যতম প্রধান মুখ শুভঙ্কর মিত্রকে পুরানো দিনের মতো টোটোয় বসে মাইক হাতে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল। তবে তারপরও নতুন বছরে বেশ কয়েকটি বাংলা ছবি, যেমন- সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’, রুক্মিণী মৈত্রর ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপখ্যান’ বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও প্রেক্ষাগৃহে ৫০ দিন পূর্ণ করল '৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন'।
এতটা প্রতিকূলতার মধ্যেও প্রেক্ষাগৃহে ৫০ দিন সফল ভাবে ছবি চলা প্রসঙ্গে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলাকে পরিচালক মানসী সিনহা বললেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। আমি তো পোস্টও করেছি এখনও টিকে আছে, হাল ছাড়েনি। এত কিছুর মাঝেও তিনটে হলে আমাদের ছবি চলা, অনেক বড় প্রাপ্তি, আর তাও সেটা যদি শহর ও মফস্বল মিলিয়ে হয়। এখনও মেদিনীপুরে চলছে, কলকাতায় চলছে, এখনও মানুষ দেখছেন, জানাচ্ছেন তাঁদের কেমন লাগছে এটা নিঃসন্দেহে পাওনার জায়গা তো বটেই।’
'৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন'-এর পোস্টার ভাগ করে প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ভালোবাসার ছবির রমরমিয়ে ৫০ দিন। প্রতিটা বাড়ি যেন ৫নং স্বপ্নময় লেন হয়ে ওঠে।’
তাঁদের এই পোস্ট প্রকাশ্যে আসতেই অনুরাগীরা ভালোবাসায় ভরে দিয়েছেন। একজন লেখেন, ‘জয় জয়কার হোক। ৫০ পেরিয়ে ১০০-এর দিকে ছুটুক জয়রথ। এ ছবি তো আমাদের স্বপ্নপূরণের ছবি।’ আর একজন লেখেন, ‘দারুন দারুন, এগিয়ে চলুক শততম রজনীতে, শুভেচ্ছা রইল।’ আর এক অনুরাগী লেখেন, 'আরও এগিয়ে চলুক।'
তবে আর এক কৌতূহলী দর্শক জানতে চান, ‘৫০ দিন যেহুতু হইছে বক্স অফিস কালেকশন জানান।’ এই প্রসঙ্গে মানসী বলেন, ‘তিনি জেনে কী করবেন? আমার মনে হচ্ছিল আমি একবার লিখি যে এটা জেনে কী করবেন ভাই? তারপর মনে হল এটা মনে হয় ওঁর অধিকার বলে তিনি নিজেই ধরে নিয়েছেন। কিন্তু আমি এই মুহূর্তে মনে করছি দর্শকদের কাজ কেবলমাত্র ছবিগুলো দেখা এবং সমালোচনা করা। এই সমালোচনা ভালো হলে সেটাও যেমন ভালো লাগবে, খারাপ হলেও তা খুশি মনে মাথা পেতে নেব। তাঁদের আমি আমার কালেকশন কেন জানাব? দর্শকদের জন্য আমার ছবিটুকুই থাক। কালেকশন আমার হাউজের জন্য থাক।' তিনি আরও বলেন, 'কোনও দিন দর্শক জানতে চাইবেন স্ক্রিপ্টের কোন পাতায় কী লিখেছেন? সবটা জানাতে গেলে তো একটু চাপ হয়ে যাবে।'