অভিনেতা আমির খান এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী রিনা দত্তের প্রেমের গল্প যে কোনও সিনেমার গল্পকে হার মানাবে। দু'জনে দুজনের প্রতিবেশী ছিলেন। তাঁরা জানালা দিয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলতেন এবং ধীরে ধীরে প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু যখন রিনার বাবা-মা তাঁদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন, তখন তাঁরা রিনার কাছ থেকে কথা আদায় করে নেন যে, তিনি আর কখনও আমিরের সঙ্গে দেখা করবেন না। বাবা-মায়ের ভয় এবং চাপের মধ্যে পড়ে দু'জনেই চুপিচুপি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন।
আরও পড়ুন: 'মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত…', সিঙ্গল ফাদার হওয়া নিয়ে কটূক্তি! একা ঘরে কেঁদেছিলেন করণ
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমির জানান, তাঁদের দু'জনের বিয়ে আইনত সঠিক হবে কিনা তা বোঝার জন্য তিনি 'বিশেষ বিবাহ আইন' বিষয়ে পড়েছিলেন। আমির খান বলেন, ‘আমার বয়স ২১ বছর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১৯৮৬ সালের ১৮ এপ্রিল আমরা কোটে গিয়ে বিয়ে করি। আমার বন্ধু সত্য, তাঁর স্ত্রী স্বাতী এবং খুড়তুতো ভাই আনন্দ সাক্ষী ছিলেন। বিয়ের পর আমরা আমাদের নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে আসি। রিনার বোন অনু যখন এই বিষয়টা জানতে পারেন, তখন পুরো রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। রিনার বাবা-মা হতবাক হয়ে যান এবং তাঁর বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়।’
আমির জানান যে, তিনি তখন তাঁর পরিবারকে সব সত্যি খুলে বলেন। এই কথা শুনে তাঁর মা এবং বোনেরা কাঁদতে শুরু করেন, কিন্তু তাঁর বাবা আবেগপ্রবণ হয়ে তাঁদের জড়িয়ে ধরে বলেন, ‘এখন বিয়ে হয়ে গিয়েছে, এখন সমস্যা কী?’ এর পরে, আমিরের পুরো পরিবার রিনার বাবা-মাকে বোঝাতে যান, কিন্তু প্রথমে তাঁর মা তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন না।
আরও পড়ুন: মাথায় শোলার মুকুট, পরনে বেনারসি, এবার বিয়ের পিঁড়িতে রাইমা? পাত্র কে জানেন?
চার মাস পর, যখন রিনার বাবার ফের হার্ট অ্যাটাক হয়, তখন আমির এবং রিনা হাসপাতালে পৌঁছন তাঁকে দেখার জন্য। সেখানে, আমিরকে প্রথমবারের মতো দেখে বাবা মাথা নাড়েন এবং অবশেষে তাঁদের সম্পর্কটি মেনে নেন। তিনি আমিরকে বলেন, ‘তোমার সঙ্গে আমার আরও আগে দেখা করা উচিত ছিল, রিনার জন্য আমি কখনও তোমার মতো ছেলে খুঁজে পেতাম না।’