কসবায় আইনের কলেজের আইনের ছাত্রীর গণধর্ষণের ঘটনায় দেশজোড়া তোলপাড়ের মধ্যেই একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল কলেজের গভর্নিং বডি। মঙ্গলবার দুপুরে কলেজে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন গভর্নিং বডির সভাপতি অশোক দেবসহ সমস্ত সদস্যরা। ছিলেন অধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায়। সেখানে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক শেষে জানিয়েছেন অশোকবাবু।
তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে কলেজে আপাতত পঠনপাঠন বন্ধ থাকবে। তবে কলেজের অফিস খোলা থাকবে। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা ফর্ম ফিল আপসহ অন্যান্য কাজ করতে পারবেন। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে কলেজে পঠনপাঠন শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পরীক্ষা যথাসময়ই হবে। তিনি বলেন, কলেজের নিরপাত্তা বাড়াতে আরও কয়েকটি জায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি জানান, গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর কলেজ থেকে চুক্তিভিত্তিক কর্মী মনোজিত মিশ্রকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত ২ ছাত্র জাইদ আহমেদ ও প্রমিত মুখপাধ্যায়কে কলেজ থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কী করে নিজের কলেজেই অস্থায়ী কর্মীর চাকরি পেলেন মনোজিত? কোনও কলেজে নিয়োগ পেতে গেলে সেই কলেজের গভর্নিং বডির দুই তৃতীয়াংশের সহমতি লাগে। কিন্তু ৫০ শতাংশ সদস্যের সহমতি নিয়েই কলেজে অস্থায়ী কর্মীর চাকরি পেয়ে যান মনোজিত। তখন তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক ফৌজদারি মামলা। বিরোধীদের দাবি, মনোজিতকে বহিষ্কার করে আসলে নিজেদের দায় ঝাড়ার চেষ্টা করল সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজের গভর্নিং বডি।