কোচবিহারে একটি ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। তৃণমূল বুথ সভাপতির বাবাকে কাজের জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপি ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন এক বিজেপি নেতা। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের রাজারহাটে।
আরও পড়ুন: বসিরহাটে দিল্লির ব্যবসায়ীকে অপহরণ, গ্রেফতার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ ৩ জন
জানা গিয়েছে, ৩/২০৪ নম্বর বুথের সভাপতি জিৎ ভৌমিকের বাবা উত্তম ভৌমিক রবিবার রাতে একটি বাড়িতে প্রহরীর কাজে ছিলেন। সেইসময় কয়েকজন এসে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে তুলে নিয়ে যায় এবং অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন। বর্তমানে তিনি কোচবিহার এমজেএন মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় পরিবারের তরফে পুণ্ডিবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে সোমবার এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম সুমন রায়।
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে রাজারহাটের ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রাস্তায় বসে পড়েন। তাঁদের দাবি ছিল, ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। এই অবরোধ চলতে থাকে প্রায় এক ঘণ্টা। অবরোধের কারণে জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় এবং বিক্ষোভকারীদের আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।
এই বিষয়ে তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর দে জানান, বুথ সভাপতির বাবা উত্তম ভৌমিক একজন সক্রিয় দলীয় কর্মী। বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান তিনি। তাঁর হুঁশিয়ারি না হলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। তবে অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি।
দলের স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা একেবারেই পারিবারিক অশান্তির ঘটনা। তৃণমূল ইচ্ছা করে রাজনৈতিক রং দিচ্ছে, যাতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যায়। যারা এমন করছে, তারা রাজনৈতিক ভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। পুণ্ডিবাড়ি থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। তদন্তও এগোচ্ছে। ঘটনার জেরে এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে। সতর্কতা হিসেবে এলাকায় পুলিশি নজরদারি জারি রয়েছে।