সম্প্রতি জিও সিনেমায় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের নতুন চ্যাট শো ‘ধাওয়ান কারেঙ্গে’-এর একটি সাক্ষাৎকারে অক্ষয় টুইঙ্কলের ব্যপারে নানা কথা শেয়ার করেন।অভিনেত্রীর বুদ্ধিমত্তারও যথেষ্ঠ প্রশংসা করে নায়ক জানান, তাঁকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়ে তিনি সত্যি ধন্য।
অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খান্না
সালটা ছিল ২০০১, জানুয়ারির ১৭ তারিখ সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খান্না। তারপর এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একে অপরের সুখ-দুঃখের ভাগীদার। বর্তমানে তাঁদের দুই সন্তানও রয়েছে, একজন ছেলে আরভ, অন্যজন মেয়ে নিতারা। সম্প্রতি জিও সিনেমায় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ানের নতুন চ্যাট শো ‘ধাওয়ান কারেঙ্গে’-এর একটি সাক্ষাৎকারে অক্ষয় টুইঙ্কলের ব্যপারে নানা কথা শেয়ার করেন।অভিনেত্রীর বুদ্ধিমত্তারও যথেষ্ঠ প্রশংসা করে নায়ক জানান, তাঁকে জীবনসঙ্গিনী হিসেবে পেয়ে তিনি সত্যি ধন্য।
পিঙ্কভিলার একটি প্রতিবেদন অনুসারে অক্ষয় শিখরকে তাঁর মেয়ে নিতারা কথা বলতে গিয়ে টুইঙ্কলের প্রসঙ্গ তোলেন। বয়স মাত্র ১১ বছর নিতারার। কিন্তু তার বুদ্ধি প্রশংসার দাবি রাখে। তার এই বুদ্ধিমত্তার কথা বলতে গিয়ে অক্ষয় জানান, যে সে তাঁর মায়ের মতোই বুদ্ধিদীপ্ত, আসলে এটা সে মা টুইঙ্কলের কাছ থেকেই পেয়েছে। অক্ষয় বলেন, “আমি একজন নিরক্ষর মানুষ, আমি খুব বেশি পড়াশোনা করিনি। তাই আমি প্রচুর কাজ করি, কিন্তু টুইঙ্কেল বুদ্ধিমতি।"
নায়ক বলেন, “আমি দিনের পর দিন কাজে চলে গিয়েছি আর আমার স্ত্রী আমাদের দুই সন্তানকে মানুষ করেছেন। আমার স্ত্রী আজও জীবনকে যেভাবে দেখেন তা দেখে আমি সত্যি অবাক হয়ে যাই। ওঁর বয়স এখন ৫০ তাও এখনও পড়াশোনার প্রতি ওঁর কী আগ্রহ, কী অধ্যাবসায়। টুইঙ্কল ইতিমধ্যেই মাস্টার্স শেষ করেছে এবং এখন পিএইচডি করছে।"
২০২২ সালে, টুইঙ্কল খান্না ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের গোল্ডস্মিথসে ফিকশন রাইটিং-এর উপর মাস্টার্স করতে যান, তিনি সম্প্রতি তার মাস্টার্স শেষ করেছে। ২০১৫ সালে, টুইঙ্কল তার প্রথম নন-ফিকশন বই, 'মিসেস ফানিবোনস' প্রকাশ করেন ।
অক্ষয় এবং টুইঙ্কল এই বছর তাঁদের ২৩তম বিবাহবার্ষিকী উদযাপন করেছেন। দুজনে প্রায়ই একে অপরের প্রশংসা করেন। ২০১৩ সালে হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও, অক্ষয় টুইঙ্কলের সম্পর্কে নানা কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি ওঁকে বলতে চাই যে আমাদের পরিবারের সাফল্যের চাবিকাঠি সবসময় ওঁর হাতে। অভিনেতা হিসেবে আমি সাফল্য হলেও, পরিবারকে সে ভাবে কখনও এতটা সময় দিতে পারিনি। সেদিক থেকে আমি অসফল। কিন্তু টিনা (টুইঙ্কল) ওঁর জীবনের একটা দশক আমাদের দু'জনের জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার, আমাদের সন্তানদের জন্য ব্যয় করেছেন।"