এই মেগা নিয়ে শুরু থেকে কম আলোচনা হয়নি। কখনও আসল যে নায়ক, সে-ই ধারাবাহিক ছেড়ে চলে যাচ্ছে, আবার কখনও নায়কের জীবনে একাধিক সম্পর্ক দেখানো হচ্ছে। তাছাড়া বার বার স্লটবদল তো হয়েইছে জি বাংলার এই মেগা ‘মিঠিঝোরা’র। আর তা নিয়ে দর্শকরাও নানা সময় খানিক বিরক্ত প্রকাশ করেই বলেছেন মেগা শেষ করার জন্য। আর তার মধ্যেই শোনা যায় বুধবার ২৫ জুন নাকি মেগার শেষ শ্যুটিং হয়ে গিয়েছে। তবে তা নিয়ে মেগার নির্মাতারা প্রাথমিক ভাবে কিছু না জানালেও, অবশেষে বৃহস্পতিবার ধারাবাহিকের নায়িকা আরাত্রিকা মাইতি ধারাবাহিকের শেষ দিনের শ্যুটিংয়ের খবর প্রকাশ্য এনে করলেন স্মৃতিচারণ।
বৃহস্পতিবার নায়িকা সেট থেকে সব কলাকুশলীদের সঙ্গে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখেন, ‘মিঠিঝোরা-র কাল শেষ শ্যুটিং ছিল! আজ ১৯ মাসের জার্নি শেষ!আসলে প্রায় দুবছর ধরে ১৪ ঘন্টা চরিত্রে থাকতে থাকতে আমরা ভুলেই যাই সেগুলো ‘চরিত্র’ ,বাস্তবে নেই। আর আমরা নিমিত্ত মাত্র , আমাদের প্রতিদিন প্রতিনিয়ত র্নির্দিষ্ট পোশাক পরিয়ে, মেকাপ করিয়ে, চুল বেঁধে, সাজিয়ে সেই চরিত্রটা যাঁরা গড়ে তোলেন, যাঁরা কলমের যাদুতে প্রাণ দান করেন বা ক্যামারার সামনে ১৪ ঘন্টা উজাড় করে দেন যে সঠিক ভাবে তাঁর বা প্রত্যেকটা দৃশ্য উপস্থাপন করার জন্য,তাঁর বা তাঁদের জন্যও বোধহয় এটা মেনে নেওয়া সহজ না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘যাই হোক, আমি বেশি কিছু বলব না, বলতে শুরু করলে হয় তো থামব না। শুধু এইটুকুই বলব মিঠিঝোরা আমায় কী কী দিয়েছে তা বোধহয় ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমার প্রথম সিনেমায় পদার্পণ মিঠিঝোরার হাত ধরে.… চরিত্র গুলো হারিয়ে যাবে, এটাই বাস্তব কিন্তু মন থেকে মুছে যাবে কোনও দিনও? আর রইল বাকি সম্পর্ক, মিঠিঝোরার বাইরে, বাস্তবে পূজা দিদি, স্বপ্নীলা, সুমন দা, রাজু দি, মৈনাক দা, দেবাদৃতা দি, দেবপর্ণা দি, নমিতাদি (আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ),সপ্তর্ষী, পৌস্মিতা দি, এরা থেকে যাবে সারাজীবন....। সাধ্য মতো চেষ্টা করেছি ‘রাই' হয়ে উঠতে, আর আমার সোনার তরী ভাসিয়ে দিয়েছি মিঠিঝোরার মিষ্টি স্রোতে..… আমার ওপর ভরসা রাখার জন্য ধন্যবাদ জি বাংলা, শিল্পীদি, পারমিতাদি, অদিতিদি, অর্কদা , লীনাদি, দেবলীনা দি, আমাদের ক্যাপ্টেন অফ দ্যা শীপ জয়দীপদা সহ পুরো টিমকে।'
তাছাড়া তিনি একটি ভিডিয়োয় পোস্ট করেন। সেটা শেয়ার করে লেখেন, ''মিঠিঝোরা' মনে থাকবে , সবসময়…।' তাছাড়াও পর্দার অনির্বাণের সঙ্গে কিছু পোস্ট করে নায়িকা লেখেন, ‘তোমাদের জন্য রইল…।’