Apu Biswas: শাকিব-মোহ কাটিয়ে নতুন নায়কে আগ্রহ! খুল্লামখুল্লা প্রেম নিয়ে বিস্ফোরক অপু

শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে থেকে বাচ্চা থেকে ডিভোর্স, বরাবরই চর্চায় থাকেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। ডিভোর্স হয়ে গিয়েও ছেলের বাবা, অর্থাৎ প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে বেশ পজেসিভ অপু। একাধিকবার তাঁর কথাতেই সে প্রমাণ মিলেছে। এমনকী, শাকিবের দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলীর সঙ্গেও বেশ টক্কর টের পান নেটিজেনরা। সেই অপুই কি না প্রেম করছেন বাংলাদেশের আরেক অভিনেতা বাপ্পি চৌধুরীর সঙ্গ। পড়শি দশ কেন, ভারতের মানুষের মনেও ছিল বেশ দ্বিধা। অবশেষে তাঁকে নিয়ে ওঠা প্রেমচর্চায় মুখ খুললেন অভিনেত্রী। সিনেমার সেটেই আলাপ অপু-শাকিবের। বেশ কয়েকবছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০০৮ সালে হয়েছিল বিয়েটা, তবে লুকিয়ে। বিয়ের পর একসঙ্গে বহুকাজ করেছেন, দিয়েছেন সাক্ষাৎকার। তবে বিয়ের কথা ফাঁস করেননি কেউই। সবাইকে অবাক করে ২০১৬ সালে ছেলে জয়ের জন্মের পর প্রথমবার সবার সামনে হাটে হাড়ি ভাঙেন অপু। ৬ মাসের ছেলে কোলে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশেরই এক সংবাদমাধ্যমে। শাকিবের সঙ্গে বিয়ে থেকে সংসার, ছেলের জন্ম সবটা ফাঁস করে বোমা ফাটিয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই খারাপ হতে থাকে অপু-শাকিবের সম্পর্কের সমীকরণ। তারপর বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁদের। দেবাশীষ বিশ্বাস পরিচালিত সিনেমা ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২’ সিনেমা দিয়েই দীর্ঘদিন পর সিনেমার জগতে পদার্পন করেন অপু বিশ্বাস। সেই ছবিতে তাঁর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল অভিনেতা বাপ্পি চৌধুরীকে। এই ছবির প্রচারেই অপু আর বাপ্পির মধ্যে প্রেমের গুঞ্জন ওঠে। সত্যিই কি শাকিবকে ছেড়ে তাহলে এতদিন পর নতুন কারও প্রেমে পড়লেন তিনি?বাপ্পির ব্যাপারে প্রশ্ন আসতেই অপুর কাছ থেকে যে জবাব এল তা শুনে চোখ ছানাবড়া অনেকেরই। নিজের মুখেই জানালেন ‘নিজের কীর্তি’। জানালন, এই প্রেমের গুজব ছড়িয়ে দেওয়ার পিছনে আসালে তারই হাত রয়েছে। বাংলাদেশের এক টিভি চ্যানলে ইদের অনুষ্ঠানে গিয়ে অপু ফাঁস করলেন, ‘আমি চলচ্চিত্রে কামব্যাক করছিলাম শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ ২ দিয়েই। আমি নায়িকা হিসেবে ফিরছি, সাধারণ দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে তো! আমি নিজে পরিচালক দেবাশীষ দাদা ও বাপ্পির সঙ্গে মিলে এই পরিকল্পনাটা করি। আর সত্যি বলতে তা কাজেও দেয়। আমার কামব্যাক ফিল্ম সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।’দিনকয়েক আগে সবসময় শাকিবের পাশে থাকার কথা বলতেও শোনা গিয়েছে অপুকে। জানান, শাকিব আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় নাম। মেরুদণ্ডও বলা যেতে পারে। ওর কোনও ক্ষতি হওয়া মানে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিরই ক্ষতি। তা আমি হতে দেব না। আমি বেঁচে থাকতে কেউ তা করতে পারবে না। আমি ওর ‘প্রিয়তমা’ সিনেমার পাশে আছি।