Manashi-Anwesha-Exclusive: ‘ও অভিনয় করেনি, ও দুষ্টু…’! সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ বলেই কি অন্বেষা স্বপ্নময় লেনে? জবাব মানসীর

বড়দিনে বাংলার বক্স অফিস জমজমাট। কারণ মুক্তি পেয়েছে ৪টি বাংলা ছবি- 'খাদান', ‘সন্তান’, ‘৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন’, ‘চালচিত্র’। এরমধ্যে চারটি ছবিই দর্শক মনে আলাদা আলাদা করে জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। যেমন ৫ নম্বর স্বপ্নময় লেন। একটু সময় লেগেছে ছবিখানার দর্শকদের কাছ থেকে সমাদর পেতে কিংবা শো পেতে। তবে ইন্টারনেট খুললেই এখন দেখা যাবে, মানসী সিনহার পরিচালনায় তৈরি দ্বিতীয় ছবি নিয়ে ভরে ভরে প্রশংসা হচ্ছে। আরও একটা নাম ঘুরেফিরে আসছে সকলের মনে, আর সেটা হল অন্বেষা হাজরা।‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ দিয়ে নিজের অভিনয়ের জার্নি শুরু করেন অন্বেষা। আর সেই সিরিয়ালেই তাঁর ঠাকুমা শাশুড়ির (ছোট ঠাম্মি) চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মানসী। সেই আলাপই কি অন্বেষাকে সাহায্য করল, সিনেমায় এত বড় ব্রেক পেতে? এর আগে অবশ্য চিনি ২ সিনেমায় একটা ছোট্ট চরিত্রে কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী।আরও পড়ুন: ‘দেব যেভাবে বাসে করে ঘুরে, জিৎ কখনও…’, খাদানের জন্যই শো পাচ্ছে না স্বপ্নময় লেন? খোলাখুলি কথা বললেন পরিচালক মানসী সিনহাঅন্বেষার কাস্টিং নিয়ে প্রশ্ন করলে, হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে পরিচালক মানসী সিনহা জানান, ‘যখন এই পথ যদি না শেষ হয়-তে আমরা কাজ করতাম তখন দেখি যে, অন্বেষার কাজের প্রতি মারাত্মক ডেডিকেশন। পোটেনশিয়াল অভিনেত্রী। ও নায়িকা হতে আসেনি, অভিনেত্রী হতে এসেছে। পরে যখন আমি এই গল্পটা ফাইনাল করি, তখন আমি শভঙ্করকে (স্বপ্নময় লেনের প্রযোজক) বলি, আমি অন্বেষা ছাড়া এই চরিত্রটায় আর কাউকে দেখতে পারছি না। আমার মনে হচ্ছে, ওকে আমি খুব সুন্দর করে এটা বোঝাতে পারব। আর ও খুব তাড়াতাড়ি এই চরিত্রটা আত্মস্থ করতে পারবে। আর সেটাই হয়েছে। ও অভিনয় করেনি, ও দুষ্টু হয়ে গিয়েছিল।’ ‘নিজের কাজর প্রতি ও কতটা ডেডিকেটেড, সেটা তো আমি আগেই দেখেছি। আর এবারেও সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে বুঝেছি, না আমি কিছু ভুল ভরসা করিনি। আজকেও সাউথ সিটিতে গিয়েছি শো শেষের পর, এক ভদ্রলোক দূর থেকে বলছেন, 'অন্বেষা কোথায়', আমি বললাম ‘ও শ্যুটিং করছে’। উনি বললেন, 'ওকে বলে দেবেন ও এই ছবির সেরা'। এরকম সময়গুলোতে মনে হয়, একদম ঠিক আছে। সিলেকশনে ভুল করিনি আমি। মানুষ চিনতে ভুল করিনি।’, আরও বলেন মানসী অন্বেষা প্রসঙ্গে। এই পথ যদি না শেষ হয়-এর পর, সন্ধ্যাতারা ধারবাহিকে দেখা যায় অন্বেষাকে। বর্তমানে তিনি আনন্দী ধারাবাহিকে কাজ করছেন। অন্যদিকে, এটি দ্বিতীয় পরিচালনা মানসীর। এর আগে তাঁর বানানো ‘এটা আমাদের গল্প’-ও দর্শকদের মন জয় করে নেয়। ৮০ দিনের বেশি টিকে ছিল হলে।