সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র।ট্যাঙ্কে শো-কজ করেছিল দল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই দলের প্রশ্নের জবাব পাঠালেন কামারহাটির এই বিধায়ক। সোমবার রাতে তিনি ইমেলের মাধ্যমে তৃণমূলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন বলে খবর। (আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে ফের ধর্ষণের জন্যে ভিডিয়ো করতে বলা হয়, কসবা কাণ্ডে 'দাদার কীর্তি' ফাঁস)
আরও পড়ুন: '১২ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে…' কসবার তদন্ত কতটা হল? বড় আপডেট দিল কলকাতা পুলিশ
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছেন মদন। তবে জবাবে তিনি দলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা যেমন চেয়েছেন তেমনি নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কোন পরিস্থিতিতে তিনি ওই মন্তব্য করেছিলেন এবং কী বোঝাতে চেয়েছিলেন তা জানিয়েছেন। তবে তাতে দল সন্তুষ্ট কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। দল সূত্রের খবর, মদনের পাঠানো ব্যাখ্যার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে শীর্ষ নেতৃত্ব। (আরও পড়ুন: কসবা গণধর্ষণকাণ্ডে তদন্তে নয়া মোড়, আরও ৪ জনের ওপর নজর পুলিশের)
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় আজ নবগ্রাম থানায় তলব কার্তিক মহারাজকে, হাজিরা কি দেবেন?
উল্লেখ্য, কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর, গত শনিবার মদন মিত্র বলেন, ‘ছাত্রীটি কেন একা কলেজে গেল? কাউকে সঙ্গে নিলে বা আগেই জানালে হয়তো এমনটা হত না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কলেজে তখন কেউ ছিল না, সেই সুযোগ নিয়েছে অভিযুক্তরা।’
এই মন্তব্য সামনে আসার পরেই শুরু হয় প্রবল বিতর্ক। দল তড়িঘড়ি বিবৃতি দিয়ে জানায়, মদনের বক্তব্য একান্তই ব্যক্তিগত, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। এমন সংবেদনশীল ইস্যুতে ওই ধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করে না তৃণমূল। পরদিনই দলীয় রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী শো-কজ পাঠান মদনকে।
শো-কজ চিঠিতে লেখা হয়, কসবার ঘটনায় দল গভীরভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। দল কঠোর ভাষায় ঘটনার নিন্দা করেছে এবং প্রশাসন ইতিমধ্যেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। ঠিক এই সময়ে আপনার (মদনের) অপ্রাসঙ্গিক ও বেদনাদায়ক মন্তব্য জনসমক্ষে দলের ভাবমূর্তিকে আঘাত করেছে এবং এটি দলের অবস্থানের পরিপন্থী। কেন এমন মন্তব্য করলেন, তার ব্যাখ্যা তিন দিনের মধ্যে দিতে বলা হয় মদনকে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেই ব্যাখ্যা দিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন দেখার, তৃণমূল তাঁর জবাবে সন্তুষ্ট হয় কি না, নাকি দলীয় বিধায়কের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়।