রাজকে বলতে শোনা গেল, ‘এখানে আমার পুরনো বাড়ি, এখানে আমি জন্মেছি, বড় হয়েছি…।' স্থানীয় এক মহিলাকে রাজের হাতের উপর হাত রেখেই কথা বলতে দেখা গেল। এক ব্যক্তির হাত ধরেও কথা বলতে দেখা গেল রাজকে। কেউ আবার সুযোগ পেয়ে সেলফিও তুললেন। 'রাজু'কে পেয়ে পাড়ার অনেককেই এদিন ঘর থেকে বের হয়ে এসে কথা বলতে শুরু করেন।
হালিশহরে ছোটবেলার পাড়ায় রাজ
এখন তিনি টলিপাড়ার নামী পরিচালক, সেই সঙ্গে শাসক দলের বিধায়ক। রাজ চক্রবর্তীর নাম শোনেনি, এরাজ্যে এখন এমন লোক হয়ত কমই আছেন। এখন রাজের অনেক প্রতিপত্তি। থাকেন আরবানার মতো কলকাতার বিলাসবহুল আবাসনে। হোমটাউন হালিশরেও রয়েছে রাজ চক্রবর্তীর প্রাসাদোপম বাড়ি। তবে শুরু থেকেই সবকিছু এমন ছিল না।
হ্য়াঁ, ঠিকই পড়ছেন। ১৯৭৫-র ২১ ফেব্রুয়ারি হালিশহরে জন্ম হয় রাজ চক্রবর্তীর। তখন তাঁদের প্রাসাদোপম বাড়ি ছিল না। রাজের যখন জন্ম হয় তখন ছোট একটা বাড়িতেই থাকত তাঁর পরিবার। হালিশহরে ছোটবেলার সেই পাড়ায় অবশ্য তিনি রাজ চক্রবর্তী নন, তিনি এখনও সেখানে সকলের প্রিয় 'রাজু'। রবিবার সেখানেই গিয়ে পৌঁছেছিলেন রাজ। সেখানে গিয়ে পাড়ার লোকজনের কাছে 'রাজু' হয়েই ধরা দিলেন রাজ। নেহাতই কোনও তিক্ততা না থাকলে ছোটবেলার স্মৃতিতে ফিরতে কার না ভালো লাগে! ছোটবেলার স্মৃতি সতত মধুর।
ছোটবেলার পাড়ায় কোথায় জন্মেছিলেন? কোন বাড়িতে থাকতেন? কী করতেন সবকথাই হল রাজের পুরনো পাড়ার, কাছের মানুষজনের সঙ্গে। পুরনো স্মৃতিমাখা সেই বাড়ির দেওয়ালে ঠেস দিয়ে খানিক আড্ডা দিলেন রাজ। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘এখানে আমার পুরনো বাড়ি, এখানে আমি জন্মেছি, বড় হয়েছি…।' স্থানীয় এক মহিলাকে রাজের হাতের উপর হাত রেখেই কথা বলতে দেখা গেল। এক ব্যক্তির হাত ধরেও কথা বলতে দেখা গেল রাজকে। কেউ আবার সুযোগ পেয়ে সেলফি তুলে নিলেন। 'রাজু'কে পেয়ে পাড়ার অনেক মহিলাকেই ঘর থেকে বের হয়ে এসে কথা বলতে দেখা গেল। তারই কিছু মুহূর্ত উঠে এসেছে টলি অনলাইনের সোশ্যাল মিডিয়ায়।