কিশোর কুমার A মহম্মদ রফিকে হিন্দি সিনেমার গানের জগতের দুটি অতুলনীয় হীরা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দুজনেই তাঁদের সুরেলা কণ্ঠ দিয়ে অনেক অভিনেতাকে 'সুপারস্টার' বানিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের গানের মাধ্যমেই পরিচিতি পেয়েছেন। পঞ্চাশের দশক থেকে আশির দশক পর্যন্ত এই দুই গায়ক হিন্দি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আধিপত্য বজায় রেখেছিলেন। সেসময় দু'জনের গায়কীর তুলনা করা হত বলেও খবর শোনা যেত। তবে তাতে দুই গায়কের বন্ধুত্বে কোনও প্রভাব পড়েনি।
জানা যায়, রফি সাহেব যখন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যান, তখনও কিশোর কুমার তাঁর পা ধরে কেঁদেছিলেন। রফির স্মরণে একটি অনুষ্ঠানে তাঁর গাওয়া একটি গানও গান তিনি। কিশোর কুমারের ছেলে অমিত কুমার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, রফি সাহেবের মৃত্যুতে তাঁর বাবা খুব শোকাহত হন। মহম্মদ রফির মৃত্যুর পর তিনি তাঁর পা চেপে ধরে কেঁদেছিলেন। উভয় গায়কের মধ্যে একে অপরের প্রতি ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা অপরিসীম ছিল। প্রিয় বন্ধু রফি সাহেবের মৃত্যুর পর কিশোর কুমার ‘ভরি মেহফিল মে’ গানটি তাঁর স্মরণে গেয়েছিলেন। সেসময় কিশোর কুমারের কণ্ঠে রফি সাহেবের গান শুনে বহু শ্রোতাই কেঁদে ফেলেছিলেম। দুজনের সম্পর্ক ছিল খুবই গভীর।
আরও পড়ুন-‘নতুন জামার ট্যাগ খুলতে ভুলে গেছেন? নাকি সবই শো-অ …’ ট্রোলিং-এর মুখে কী করলেন আরজে মাহভাশ?
সাহির লুধিয়ানভি ১৯৬৪ সালের ‘চিত্রলেখা’ ছবির জন্য একটি গান লিখেছিলেন। গানটির সুর করেছেন রোশন এবং গেয়েছেন মোহাম্মদ রফি। গানটি ছিল 'মন রে তু কহে না ধীর ধরে'। এই গানে যেন রফি সাহেব নিজের মন প্রাণ ঢেলে দিয়ে গেয়েছিলেন। রফি তাঁর ছবির নায়কের জন্য এই গানটি গেয়েছিলেন।
তাঁর মৃত্যুর পরে, ১৯৮২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর একটি লাইভ পারফরম্যান্সের সময়, কিশোর কুমার তাঁর হারিয়ে যাওয়া বন্ধু রফিকে স্মরণ করে চোখে জল নিয়ে বুঝে আসা কণ্ঠস্বরে গানটি গেয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন তিনি তাঁর বন্ধুকে মিস করেছেন। আর এই গানে কিশোর কুমার উপস্থিত সবাইকে কাঁদিয়েছিলেন। হ্যাঁ, ঠিকই শুনছেন। এমনটাই শোনা যায়। কিশোর কুমার যখন তাঁর বন্ধু রফিকে স্মরণ করে এই গানটি গাইছিলেন, তখন দর্শকাসনে বসে দর্শক ও শ্রোতাবন্ধুরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই পারফরম্যান্স দিয়েই পুরনো সময়টা ফিরিয়ে এনেছিলেন।