ছোট বাচ্চাদের বাবা-মায়ের সাথে ঘুমানো খুবই সাধারণ ব্যাপার। একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ঠিক আছে, কিন্তু যখন এই অভ্যাস দীর্ঘ সময় ধরে চলতে শুরু করে, তখন এর অনেক প্রতিকূল প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে, এটি শিশুদের মধ্যে নিরাপত্তা এবং ভালোবাসার অনুভূতি দেয়, কিন্তু ধীরে ধীরে এর কারণে শিশুদের মানসিক, শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ প্রভাবিত হয়। অনেক সময় বাবা-মা তাদের সন্তানদের তাদের সাথে ঘুমাতে বাধ্য করেন এই ভেবে যে তারা ভয় পাবে বা একা কাঁদবে, কিন্তু বাবা-মায়ের এই সিদ্ধান্ত শিশুর জন্য ঠিক নয়। বাবা-মায়ের সাথে ঘুমানোর বাচ্চাদের অভ্যাস তাদের মধ্যে কিছু খারাপ অভ্যাস গড়ে তুলতে পারে। আসুন জেনে নিই বাবা-মায়ের সাথে ঘুমানোর ফলে শিশুর মধ্যে কী কী খারাপ অভ্যাস তৈরি হতে পারে।
আত্মনির্ভরতার অভাব
যখন একটি শিশু সবসময় বাবা-মায়ের সাথে ঘুমায়, তখন সে নিজেকে বিশ্বাস করতে শিখতে পারে না। সে সবসময় মনে করে যে সে একা ঘুমাতে পারে না অথবা সে একা নিরাপদ নয়। এটি আত্মনির্ভরতার অভাব। পরবর্তীতে, শিশু ছোট ছোট জিনিসেও সাহায্য চায় এবং একা যেকোনো কাজ করতে ভয় পেতে শুরু করে। শিশুর এই অভ্যাসের কারণে, সে স্কুল, হোস্টেল বা যেকোনো নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়।
ঘুমের মানের উপর প্রভাব
শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য সঠিক ঘুম পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের সাথে ঘুমায়, তখন তাদের ঘুম প্রায়শই ব্যাহত হয়। যদি বাবা-মায়ের দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাস থাকে অথবা রাত পর্যন্ত টিভি বা মোবাইল ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে, তাহলে এর ফলে শিশুর ঘুম চক্রও ব্যাহত হয়। এমন পরিস্থিতিতে, যখন শিশু পর্যাপ্ত ঘুম পায় না, তখন সে সারা দিন ক্লান্ত বোধ করে, যা তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশকে প্রভাবিত করে।
ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বৃদ্ধি
যখন শিশুরা বড় হওয়ার পরেও তাদের বাবা-মায়ের সাথে ঘুমাতে থাকে, তখন তাদের মনে ভয় এবং নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বাড়তে থাকে। এই ধরনের শিশুরা প্রায়শই একা ঘরে যেতে বা অন্ধকারে ঘুমাতে ভয় পেতে শুরু করে। এর ফলে, ধীরে ধীরে শিশু মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়তে শুরু করে এবং তার আত্মবিশ্বাসও কমতে শুরু করে।
গোপনীয়তা বোঝার অভাব
যখন একটি শিশু বাবা-মায়ের সাথে ঘুমায়, তখন সে তার এবং অন্যদের ব্যক্তিগত স্থান বুঝতে পারে না। এই ধরনের শিশু কারও গোপনীয়তাও বোঝে না। এই ধরনের শিশু কেবল অন্যদের উপর নির্ভরশীল থাকে না, বরং কখনও বুঝতে পারে না যে প্রতিটি ব্যক্তির নিজস্ব স্থান আছে। এই কারণে, অনেক সময় এই ধরনের শিশুরা ভবিষ্যতে সামাজিকভাবে মানিয়ে নিতে সমস্যার সম্মুখীন হতে শুরু করে।
অন্যান্য শিশুদের সাথে তুলনা এবং হীনমন্যতা জটিলতা
যখন একটি শিশু তার বাবা-মায়ের সাথে ঘুমায়, সে স্কুলে বা সামাজিক গোষ্ঠীর অন্যান্য শিশুদের কাছ থেকে শুনতে পায় যে তারা একা ঘুমায়, তখন সে দুর্বল বা আলাদা বোধ করতে পারে। এটি তার মধ্যে একটি হীনমন্যতা জটিলতা তৈরি করে। শিশু নিজেকে দুর্বল ভাবতে শুরু করে, যা তার আত্মসম্মানকেও প্রভাবিত করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।