নাইসেডের অধিকর্তা শম্পা দত্ত জানিয়েছেন, কোবাসের মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা করা সম্ভব। এর মাধ্যমে এইচআইভিরও পরীক্ষা করা যায়। দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এ বিষয়ে নাইসেডের যোগাযোগ করে। তাদের তরফে একটি প্রতিনিধি দল এসে ওই যন্ত্রটির পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন।
করোনা পরীক্ষা করার যন্ত্রে এইচআইভি পরীক্ষা করা হবে। প্রতীকী ছবি
২০২০ সালে সারা বিশ্বে মাথা চারা দিয়ে উঠেছিল করোনাভাইরাস। ভারতেও মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল এই মারণ ভাইরাস। সেই সময় করোনা নিয়ন্ত্রণে একাধিক পদক্ষেপ করেছিল সরকার। রোগীদের চিকিৎসা থেকে শুরু করে লালারসের পরীক্ষার জন্য একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। করোনা পর্বে দ্রুত লালারস পরীক্ষার জন্য কোটি টাকা খরচ করে কেনা হয়েছিল কোবাস ৮০৮০ যন্ত্র। কারও শরীরে এই ভাইরাস রয়েছে কিনা এই যন্ত্রের সাহায্যে তা মাত্র ৪০ মিনিটেই পরীক্ষা করা সম্ভব। তবে করোনা এখন নেই। ফলে এই যন্ত্রের ব্যবহারও কমে গিয়েছে। একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছে বললেই চলে। তাই এই যন্ত্রের সাহায্যে এবার এইচআইভির পরীক্ষা করার পরিকল্পনা নিয়েছে নাইসেড।
এ বিষয়ে নাইসেডের অধিকর্তা শম্পা দত্ত জানিয়েছেন, কোবাসের মাধ্যমে বিভিন্ন পরীক্ষা করা সম্ভব। এর মাধ্যমে এইচআইভিরও পরীক্ষা করা যায়। দিন কয়েক আগে ন্যাশনাল এইডস কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন এ বিষয়ে নাইসেডের যোগাযোগ করে। তাদের তরফে একটি প্রতিনিধি দল এসে ওই যন্ত্রটির পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই যন্ত্রে এইচআইভি পরীক্ষা করা সম্ভব। যেহেতু যন্ত্রগুলি পড়ে রয়েছে তাই সেগুলি কাজে লাগানোর জন্য এইচআইভি পরীক্ষা করার পরিকল্পনা করেছে নাইসেড। শুধুমাত্র এ রাজ্যেই নয় পূর্বাঞ্চলে যে সমস্ত রাজ্য রয়েছে সেই সমস্ত রাজ্য থেকেই এইচআইভি নমুনা সংগ্রহ করে নাইসেডে আনা হবে। সেখানে এই যন্ত্রে নমুনা পরীক্ষা করা হবে। কলকাতায় নাইসেডের এক বিশেষজ্ঞ জানান, অন্যান্য যে কোনও যন্ত্রের থেকে এই যন্ত্রের কার্যকারিতা এবং সাফল্যের হার অনেক বেশি।