পড়তেন একই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একই ব্যাচে। কিন্তু কখনও দেখা হয়নি। সম্প্রতি তাদের দেখা হয় একটি ইভেন্টে। আর সেখানেই দুজন সমবয়সী একে অপরের সঙ্গে আলাপ করেন। তখনই সুন্দর পিচাই বলে বসেন গৌরাঙ্গ দাসকে, ‘তোমাকে এই বয়সেও বেশ তরুণ লাগছে।’ উত্তরে গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ‘তুমি গুগল নিয়ে কাজ করো। এটি স্ট্রেস তৈরি করে। আমি ঈশ্বরকে নিয়ে কাজ করি। ঈশ্বর স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করেন।’ সম্প্রতি এই কথাই এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া গ্লোবাল ইভেন্ট ২০২৫-এ এসেছিলেন ইসকনের প্রভু গৌরাঙ্গ দাস। সেখানেই তিনি বলেন, সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হওয়ার ঘটনাটি। তাদের সাক্ষাৎ হয়েছিল লন্ডনের একটি ইভেন্টে। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে পরস্পরের সাক্ষাৎ হয়। তখন তাঁর বয়স ৫৩ বছর।
আরও পড়ুন - শুধু ঘর নয়, উজ্জ্বল হবে ত্বকও! হলুদের এইসব গুণ অনেকেরই অজানা, রইল ট্রিকস
দুজন বেছে নেন আলাদা পথ
সুন্দর পিচাই খড়গপুর আইআইটি থেকে পড়েছেন। গৌরাঙ্গ দাসও একই বছর ভর্তি হয়েছিলেন আইআইটি বোম্বেতে। সেখান থেকে তিনি বিটেক ডিগ্রি পাশ করেন। অন্যদিকে সুন্দর পিচাই মেটালার্জিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বিটেক করেন। দুজন একই সময় আইআইটি থেকে পাশ করেন। কিন্তু বেছে নেন দুটো আলাদা পথ। প্রভু গৌরাঙ্গ দাস যুক্ত হন ইসকনের সঙ্গে। বর্তমানে তিনি দেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ ধর্মগুরু। অন্যদিকে সুন্দর পিচাই গুগলের মতো বিশ্বের অন্যতম সেরা সংস্থার সিইও।
আরও পড়ুন - চাকরির পরীক্ষাতেও কেন বৈদিক গণিত দরকার? বিশেষ ওয়ার্কশপে বোঝালেন অরবিন্দ সিং
কেন স্ট্রেস কম?
তাদের দুজনের মধ্যে দেখা হলে সুন্দর পিচাই গৌরাঙ্গ দাসকে তাঁর তারুণ্যের প্রশংসা করেন। তখনই গুগল আর ভগবানের প্রসঙ্গ তুলে আনেন প্রভু গৌরাঙ্গ দাস। তিনি বলেন, গুগল নিয়ে কাজ করলে স্ট্রেস হবেই। কিন্তু ভগবান স্ট্রেস কমান। তিনি সেই পথ বেছে নিয়েছেন। তাই তাঁকে বয়সের তুলনায় তরুণ লাগছে!