আপনি নিশ্চয়ই বাড়ির বড়দের কাছ থেকে অথবা অন্য কোথাও থেকে শুনেছেন যে খাওয়ার পরপরই জল পান করা উচিত নয়। অনেকেই এর পেছনের কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন যে, এতে স্থূলতা বৃদ্ধি পায়। বেশিরভাগ মানুষ খাওয়ার পর জল পান করতে ভয় পান কারণ তাদের ভয় থাকে যে তাদের ওজন বাড়তে পারে। যারা ওজন কমানোর যাত্রায় আছেন তারাও এই অভ্যাসটি উন্নত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেন। কিন্তু খাওয়ার পরপরই জল পান করলে কি আসলেই স্থূলতা বৃদ্ধি পায় নাকি এটিও কেবল একটি মিথ? আসুন জেনে নিই আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক বিজ্ঞান এ বিষয়ে কী বলে। এছাড়াও, আমরা জানব কেন খাওয়ার পর পানি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। খাওয়ার পর জল পান করলে কি ওজন বাড়ে?
সহজ ভাষায়, খাওয়ার পরপরই জল পান করলে ওজন বাড়ে না। বৈজ্ঞানিকভাবে দেখলে, জলের নিজস্ব কোনও ক্যালোরি থাকে না, যার কারণে এটি সরাসরি ওজন বৃদ্ধি করে না। তবে, খাওয়ার পরপরই যদি আপনি প্রচুর জল পান করেন, তাহলে এটি হজম রসকে পাতলা করে দেয়, যার কারণে খাবার সঠিকভাবে হজম হয় না। এর ফলে, কখনও কখনও পেটে ভারী ভাব এবং ফোলাভাব দেখা দেয়, যা মানুষ ওজন বৃদ্ধির সাথে যুক্ত করে। আয়ুর্বেদ কি বলে জেনে নিন যদি আমরা আয়ুর্বেদে বিশ্বাস করি, তাহলে খাওয়ার পরপরই জল পান করা এড়িয়ে চলা উচিত। এক বা দুই চুমুকের বেশি জল পান করলে পেটের আগুন দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না এবং শরীরে বিষাক্ত পদার্থও তৈরি হতে শুরু করে। তাই আয়ুর্বেদে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে খাওয়ার পরপরই এক বা দুই চুমুকের বেশি জল পান করবেন না। হালকা গরম জল বা জিরা জল পান করা ভালো, কারণ এগুলো হজমে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ জেনে নিন। সামগ্রিকভাবে, খাওয়ার পরপরই জল পান করলে সরাসরি ওজন বাড়ে না বরং আরও অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা সবসময় পরামর্শ দেন যে খাওয়ার অন্তত আধা ঘন্টা পর সঠিক পরিমাণে জল পান করা উচিত। খাওয়ার পরপরই, আপনি কেবল এক বা দুই চুমুক জল খেতে পারেন। অন্যদিকে, ওজন নিয়ন্ত্রণের কথা বলতে গেলে, বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে খাওয়ার প্রায় আধা ঘন্টা আগে এক গ্লাস জল পান করা উচিত। এটি আপনাকে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বিরত রাখে এবং আপনার হজমশক্তিও উন্নত করে।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরের ত্রুটি থাকলে, তা ক্ষমার্হ এবং পাঠকের মার্জনা প্রার্থনীয়।