চন্দ্রগ্রহণ এমন একটি ঘটনা, যার বিজ্ঞান ছাড়াও ধর্ম এবং জ্যোতিষশাস্ত্রে অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ২০২২ সালের শেষ চন্দ্রগ্রহণ ঘটতে চলেছে ৮ নভেম্বর। গ্রহন ৮ নভেম্বর দুপুর ০২.৪১ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ০৬.২০ মিনিটে শেষ হবে। এদিন সকাল ৮.২০ মিনিট থেকে সূতক সময় শুরু হবে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, গ্রহনকালে আমাদের চারপাশের সবকিছু প্রভাবিত হয়। সূতকের কারণে এই সময়ে কোনো ধর্মীয় বা শুভ কাজ করা হয় না। তাই এই সময়ে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখা খুবই জরুরি। অন্যথায় সমস্যায় পড়তে হতে পারে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চন্দ্রগ্রহণের সময় কি কি কাজ করা উচিত এবং কি কি এড়িয়ে চলা উচিত।গ্রহনকালে কি করবেন না?জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস অনুসারে, গ্রহণের সময় নেতিবাচক শক্তির প্রভাব বৃদ্ধি পায়। এমন অবস্থায় চন্দ্রগ্রহণের সময় খাবার রান্না করা বা খাওয়া উচিত নয়।চন্দ্রগ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের ঘর থেকে বের হওয়া উচিত নয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি ভ্রূণের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়াও, গর্ভবতী মহিলাদের গ্রহণের সময় ধারালো বস্তু ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত।গ্রহণের সময় ঘুমানোও উচিত নয়। এটি করা অশুভ বলে মনে করা হয়। এছাড়াও গ্রহনকালে গাছপালা স্পর্শ করা হয় না। জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে গ্রহণের সময় পূজা করা উচিত নয় বা মন্দিরের দরজা খোলা রাখা উচিত নয়।চন্দ্রগ্রহণের সময় কী করবেন?চন্দ্রগ্রহণের সময় গায়ত্রী মন্ত্র বা ইস্ট দেবতার মন্ত্র জপ করা শুভ।গ্রহণের পরে, শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করুন এবং ওম নমঃ শিবায় মন্ত্রটি জপ করুন। এতে চন্দ্রগ্রহণের খারাপ প্রভাব পড়বে না।গ্রহন শুরু হওয়ার আগে খাবারে তুলসী পাতা দিন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি করলে, গ্রহণের নেতিবাচক শক্তি খাদ্য ও পানীয়ের উপর প্রভাব ফেলবে না।গ্রহন শেষ হলে সারা ঘরে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দিন। তুলসী গাছ থেকে মন্দির পর্যন্ত গঙ্গাজল দিয়ে আপনার পুরো ঘরকে শুদ্ধ করুন। এছাড়াও গ্রহণের পরে, সামর্থ্য অনুযায়ী অভাবী মানুষদের অর্থ এবং খাদ্যশস্য দান করুন।