চোর সন্দেহে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বেধড়ক মারধর করা হল বলে অভিযোগ।ঘটনাটি আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের একটি বেসরকারি আবাসিক স্কুলের। অভিযোগের তির স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দিকে। শুধু মার নয়, ছাত্রের গোপনাঙ্গে আঘাতের অভিযোগও উঠেছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল।
আরও পড়ুন: জয় শ্রী রাম স্লোগান দেওয়ায় ছাত্রকে মারধর, শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি
জানা যাচ্ছে, ঘটনাটি ঘটেছে মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকের উত্তর শিশুবাড়ি ভগৎপাড়ার সারদা শিশুমন্দির নামে একটি বেসরকারি আবাসিক স্কুলে। ওই স্কুলের ছাত্র বছর আটেকের এক খুদে, বাড়ি মুজনাই চা বাগানের বাঙ্গাবাড়ি ডিভিশনের শিব মন্দির লাইন এলাকায়। ছেলের বাবা কিষান লাল ওঁরাও অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার গরমের ছুটির সময় তিনি ছেলেকে আনতে স্কুলে যান। তখনই লক্ষ্য করেন ছেলে হাঁটতেই পারছে না খুব কষ্টে খুঁড়িয়ে চলছে। জিজ্ঞেস করতেই ছেলেটি জানায়, প্রধান শিক্ষক দীপক ঘোষ তাকে টাকা চুরির অভিযোগে ব্যাপক মারধর করেছেন। শুধু তাই নয়, ছোট হাতের তালুতে ঝাঁটার কাঠি দিয়ে ফুটো করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। আরও ভয়াবহ অভিযোগ, ছেলেটির গোপনাঙ্গে নির্মমভাবে আঘাত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের এই কীর্তিতে হতবাক হয়ে রবিবার মাদারিহাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেন নির্যাতিত ছাত্রের বাবা।
অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ দীপক ঘোষকে গ্রেফতার করে। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত শিক্ষক নিজেই ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তাঁর পকেট থেকে বারবার টাকা হারাচ্ছিল। রেগে গিয়ে শাসন করেছিলেন। হয়তো একটু বেশি হয়ে গিয়েছে। ছাত্র যে এতটা কষ্ট পাবে তা তিনি বুঝতে পারেননি। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় মানুষজন। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী জানান, শিশুর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা ঘৃণ্য বলেই মত গোটা এলাকার। একজন প্রধান শিক্ষকের হাতে ছোট ছেলের উপর এই ধরনের নির্যাতনের অভিযোগে ক্ষুব্ধ সকলে। শিশুর চিকিৎসা চলছে, তদন্তও জোরকদমে শুরু হয়েছে।