ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য উল্লেখ করতে হবে বাবা ও মায়ের পরিচয়পত্রের। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশকে দেশে NRC কার্যকরের চেষ্টা বলে দাবি করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর তোপের মুখে পড়লেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দুবাবু বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সংস্কারের কাজ করছে। অবস্থা ভালো নয় বুঝে এসব বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়ার সংস্কার করছে। তারা গণতন্ত্র বাঁচাতে চাইছে। আমরা চাই, এপিকের সঙ্গে আধারের লিংক। আমরা চাই বায়োমেট্রিক। আমরা চাই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে আইকার্ড দেখার অধিকার। আমরা চাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের মাধ্যমে ফটো স্ক্যান করে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢোকানো হোক। আমরা চাই, ভোটকর্মী ও গণনাকর্মীদের দলে রাজ্য সরকারি ও কেন্দ্রীয় সরকারি, দুই ধরণের সরকারি কর্মীরাই থাকুন। এটা হলে পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র রক্ষা হবে।’
বিরোধী দলনেতার দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পেরেছেন পরিস্থিতি সুবিধার নয়। হারের দুর্গন্ধ পাচ্ছেন উনি। তাই এসব বলছেন। কমিশনের পদক্ষেপে রাজ্যে যত ভুয়ো নথি জারি হয়েছে সব প্রকাশ্যে চলে আসবে। সেই আশঙ্কায় বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।