লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২০৩০ সাল, তবে তার আগেই আলুর গুণমানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনে সম্পূর্ণ স্বনির্ভরতা অর্জন করবে পশ্চিমবঙ্গ। এমনটাই জানালেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বুধবার জলপাইগুড়ির মহিতনগরে রাজ্য সরকারের কৃষি খামার পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, ইতিমধ্যে রাজ্যের তিনটি জেলায় আলুর বীজ উৎপাদনে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলার চাষিদের ১৫৮ কোটি টাকা দিল রাজ্য! আলু চাষে ক্ষতির জন্য অর্থ পাচ্ছেন তাঁরা
এদিন কৃষিমন্ত্রী জানান, জলপাইগুড়ি, নদীয়া ও মেদিনীপুর এই তিন জেলায় সরকারিভাবে আলুর বীজ উৎপাদনে সাফল্য আসতে শুরু করেছে। পাশাপাশি, ফার্মার্স প্রোডিউসার অর্গানাইজেশন (এফপিও)-এর মাধ্যমে উৎপাদনব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। কৃষিমন্ত্রীর মতে, নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজ্য গুণমান সম্পন্ন আলুর বীজ উৎপাদনের ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারবে বাংলা।
তিনি বলেন, ‘বাইরের রাজ্য থেকে বীজ আনার প্রয়োজন ভবিষ্যতে আর থাকবে না। আমরা চাই দ্রুত উৎপাদন বাড়াতে বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ জলপাইগুড়ি সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ির কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেন মন্ত্রী। কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কোন জেলায় কেমন কাজ হচ্ছে তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন মন্ত্রী। সেখানে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির প্রসার, খামার যন্ত্রপাতির ব্যবহার এবং শস্য সংরক্ষণের দক্ষ পদ্ধতি নিয়েও আলোচনা হয়।
শোভনদেব বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এলে কৃষকদের যাতে দ্রুত ফসল ঘরে তুলতে সুবিধা হয়, তার জন্য ফার্ম মেকানাইজেশন বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। এছাড়া, সারের কালোবাজারি রুখতে কর্মীদের কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বৈঠকে কৃষকের আয়ের স্থায়িত্ব এবং নিরাপত্তা নিয়েও জোর দিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, ‘বাংলা শস্যবিমা’ প্রকল্পে কৃষকদের থেকে কোনও প্রিমিয়াম নেওয়া হয় না। রাজ্য সরকারই সমস্ত দায়ভার বহন করছে, যাতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষকের ক্ষতি কিছুটা হলেও পূরণ হয়। তাঁর কথায়, কৃষকের পাশে দাঁড়ানোই সরকারের লক্ষ্য। তিনি জানা, কৃষি শুধু জীবিকা নয়, লাভজনক পেশাও হয়ে উঠুক। সেটাই চাইছে রাজ্য সরকার।