কসবা গণধর্ষণ কাণ্ডে ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্য-রাজনীতি। সেই আবহে রাজ্যে আবারও ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। খেজুর খাওয়ানোর নাম করে এক বালিকাকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সন্ধ্যায় বাঁকুড়ার সোনামুখী এলাকায়। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক টোটো চালকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে টোটো চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। তাকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: কসবা নিয়ে শহরে এল বিজেপির টিম, ‘আপনারা হাথরাসে যান, কেন্দ্রীয় টিম কেন…’
রবিবার বিকেলে সোনামুখী থানা এলাকায় ঘটেছে ঘটনাটি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, দশ বছর বয়সি মেয়েটি বাড়ির কাছের দোকানে চকোলেট কিনতে গিয়েছিল। সাইকেলেই গিয়েছিল সে। সেই সময় এক টোটোচালক যুবকের চোখ পড়ে তার ওপরে। ওই যুবক তাকে খেজুর খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে পুকুরপাড়ে ডেকে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। সেখানেই অভিযুক্ত যুবক মেয়েটিকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটি কাঁদতে-কাঁদতে বাড়ি ফেরে। আচমকা তার এমন আচরণে চিন্তিত হয়ে পড়ে পরিবার। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করতেই মেয়েটি জানায়, তার সঙ্গে কী ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।
বিষয়টি জানার পরই পরিবারের লোকজন থানায় অভিযোগ জানান। রাতেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে সোনামুখী থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত টোটোচালক নির্যাতিতার পূর্বপরিচিত।এদিনের ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে মেয়েটি। তাকে ভর্তি করা হয়েছে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সোমবার ধৃতকে তোলা হয় বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে। তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শিশুটির মা জানান, মাত্র দশ বছরের একটা মেয়ের উপর এমন পাশবিক অত্যাচার! অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে। মেয়েটির বাবার অভিযোগ, টোটো চালক আগে থেকে চিনত বলে সে সুযোগ নিয়েছে। মেয়েকে জোর করে পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে যা করেছে, তা ক্ষমার অযোগ্য।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মাকসুদ হাসান জানিয়েছেন, ধৃতকে জেরা করে ঘটনার পুনর্গঠন করা হবে। আপাতত মনে হচ্ছে, অভিযুক্ত একাই এই অপরাধে জড়িত। তদন্ত দ্রুত শেষ করে মামলাটি আদালতে তোলা হবে। সোমবার ধৃতকে বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয় বলে জানা গিয়েছে।