কসবায় সাউথ ক্যালকাট ল কলেজে গণধর্ষণের অভিযোগ। আইনের ছাত্রীকে কলেজের মধ্য়েই গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর এক নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরেই গোটা বাংলা জুড়ে শুরু হয়েছে আন্দোলন।
সোমবার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে এবিভিপির আন্দোলনকে ঘিরে একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড। এদিকে বিজেপির ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিমও এসেছে কলকাতায়। তবে ইতিমধ্য়েই বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল জানিয়ে দিয়েছেন তিনি চান কলকাতা পুলিশই এই ঘটনার তদন্ত করুক। সিবিআই চান না তিনি। তবে ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশ।
এবার প্রশ্ন তদন্ত কতটা এগিয়েছে?
সোমবার এক্স হ্যান্ডলে কসবার গণধর্ষণের ঘটনার আপডেট দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা পুলিশের তরফে এক্স হ্যান্ডলে লেখা হয়েছে, '১২ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্য়ে এফআইআরে থাকা তিনজন অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর এক অভিযুক্তকে তথ্য় প্রমাণের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতা ও অভিযুক্তদের মেডিকোলিগাল পরীক্ষা করা হয়েছে।যেখানে ঘটনা হয়েছিল সেখানে ফরেনসিক পরীক্ষা করা হয়েছে। সিনিয়র অফিসারদের নজরদারিতে স্পেশাল ইনভেসটিগেশন টিম তদন্ত চালাচ্ছে। সেই সঙ্গেই কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশ এই অপরাধের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যাতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার জন্য বদ্ধপরিকর। নির্যাতিতা যাতে ন্যায় বিচার পান সেটা দেখা হচ্ছে। '
এদিকে ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার এক আত্মীয় জানিয়ে দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের উপর আস্থা রয়েছে তাদের।
তবে গোটা ঘটনাকে ঘিরে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে শাসকদলের ছত্রছায়ায় থাকার জেরেই কি প্রধান অভিযুক্তদের এতটা দাপট ছিল ওই কলেজে?
এদিকে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের কসবা ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করেছে একধিক প্রমাণ। যে কমন রুমে সেই নির্যাতিতা মারধরের অভিযোগ করেছিলেন, সেখানে রক্তের দাগ পেয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।
এমনকী নির্যাতিতার অভিযোগের সঙ্গে সিসি ক্যামেরার ফুটেজেরও অনেকটাই মিল পাচ্ছে পুলিশ। সব মিলিয়ে এগোচ্ছে পুলিশের তদন্ত। তার মধ্য়ে রাজ্য জুড়ে কসবাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভও চলছে পুরোদমে।