ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে হারের পর শুভমন গিল একটু খোলসের মধ্যে ঢুকে পড়বেন ভয়তে, আশঙ্কা করছেন প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক অ্যালেস্টার কুক। যারা বিশ্ব ক্রিকেটের খবর রাখেন, তাঁরা ভালোই জানেন কুক কিন্তু মাইকেল ভন বা নাসির হুসেনদের মতো অযথা বিতর্ক বাড়ানোর মতো কথা বলেননা। যেটা ঠিক, সেটাই বলে থাকেন। একদমই তিনি পক্ষপাতদুষ্ট নন। সেই কুক কিন্তু একদমই হতাশ হয়েছেন গিলের ক্যাপ্টেন্সি দেখে।
চতুর্থ ইনিংসে অর্থাৎ ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে পঞ্চম দিনেও যেভাবে বেন ডাকেটের শতরানের পর জো রুটরা ৩৭১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করে সহজেই টেস্ট জিতে নিয়েছে তা দেখে হতবাক হয়ে গেছেন অ্যালেস্টার কুক। ভারতের হয়ে ব্যাটাররা পাঁচটি শতরান করার পরেও যেভাবে ঐতিহাসিক কামব্যাক রচনা করেছেন ইংরেজরা, তার পিছনে ইংল্যান্ডের অবদানের ক্ষেত্রেও গিলের ব্যর্থতাই বেশি দেখছেন কুক।
ভারতীয় দলের লোয়ার অর্ডারে ব্যর্থতার পর ক্যাচ মিসের বহর দেখেও বিরক্ত কুক। সান্ডে টাইমসের কলমে তিনি বলছেন, ‘তোমরা দেখতে পেয়েছো, যে অনেকে মিলে মাঠে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিল, ডিআরএস যখন নিচ্ছিল সেটাও ভুল নিচ্ছিল। তুমি ক্যাপ্টেন্সি নিয়ে অনেক বই পড়তে পারো, কিন্তু যতক্ষণ না মাঠে নেমে নিজে করছো ক্যাপ্টেন্সি ততক্ষণ তুমি বুঝতে পারবে না যে কি হচ্ছে। আমার মনে হয় ও একটু আতঙ্কে রয়েছে অর্থাৎ চাপে রয়েছে। আমার মনে হয়েছিল যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৩৪০ রানে এগিয়ে ছিল তখন ওদেরই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে চাপ বাড়ানো উচিত ছিল। যদিও ওরা ৩৭০ রানের লিড নিয়ে ইনিংস শেষ করেছএ, তবে যদি অ্যাটার করত তাহলে ভারতের আরও সুবিধাই হত বলে আমার মনে হয় ’।
এরপর জাদেজার বোলিং নিয়েও সমালোচনা শোনা যায় ২০১২ সালে ভারতে এসে সিরিজ জিতে যাওয়া এই অধিনায়কের গলায়। তিনি মনে করেন জাদেজার আরো মন্থর জায়গা লক্ষ্য করে বোলিং করা উচিত ছিল। তাঁর কথায়, ‘আমার মনে হচ্ছিল যে জাদেজা একটু স্লো বোলিং করবে আর মন্থর জায়গায় বোলিং করবে। কিন্তু ও ভারতে যেরকম বোলিং করা উচিত, তেমনই বোলিং করল এখানে। আমার গিলকে দেখে খারাপই লাগছে, ওর উচিত ছিল ২-৭ পরিসংখ্যানে অফ সাউডে ফিল্ড সাজানো বা বেশি বাউন্সার দেওয়া। পরের টেস্টে করুণ নায়ার বা সাই সুদর্শনকে বসিয়ে নীতীশ রেড্ডিকে ভারতের খেলানো উচিত, আর কুলদীপকেও ব্যাক আপ স্পিনার হিসেবে খেলানো উচিত বলে আমার মনে হয় ’।